শিবচরে ৬০ বছর বয়সী বৃদ্ধা রেনু বেগম হত্যার আসামি আদালতে স্বীকারোক্তি

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ১:৩৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৫

মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় উমেদপুর ইউনিয়নের কাচিকাটা গ্রামে নিজ বাড়িতে ৬০ বছর বয়সী বৃদ্ধা রেনু বেগমের গলো কাটা রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে শিবচর থানা পুলিশ ২১ সেপ্টেম্বর। ঘটনার পর থেকেই হত্যার কারণ ও মোটিভ শনাক্তে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ শুরু করে। দ্রুত গোয়েন্দা সূত্রের মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ও তদন্তের মাধ্যমে সিপিসি-৮ (RAB), মাদারীপুরের একটি বিশেষ দল ও শিবচর থানার পুলিশ পাচ্চর এলাকা থেকে মূল ভিকটিমের খুনের সাথে সরাসরি যুক্ত একজন অভিযুক্ত কাজী মাহমুদ রাসেল সবুজকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার sonrası তার জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, নিহতের পরিবারের অন্য একজনের সঙ্গে গড়ে ওঠা বিরোধ বা চোরের অপবাদের প্রতিশোধই এই হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ ছিল। শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে পাচ্চর এলাকার তার বাসা থেকে অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা ছুরি (হাসুয়া বা কাঁচি) সহ বেশ কিছু আলামত উদ্ধার করে পুলিশ। এর মধ্যে রেনু বেগমের বাসার চুরি হওয়া একটি রাইস কুকারও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

আসামি সবুজের কাছে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, হত্যাকাণ্ডের জন্য সে একাই দায়ী। লুকানো স্থান থেকে তার খাটের নীচে থাকা ছুরিটি উদ্ধার করা হয়, যেখানে ছাড়াও রেনু বেগমের চুরি হওয়া অন্যান্য জিনিসের মধ্যে একটি স্মার্টফোন ও একটি বোতল মোবাইলও পাওয়া গেছে। হামলার পর সে তার স্বর্ণের কানের দুলও নিয়ে যায়, যার মূল্য ১৪ হাজার টাকা এবং সেটি শিবচরের জুয়েলারি দোকানে বিক্রি করে। এছাড়াও, হত্যাকাণ্ডের সময়ে লুট হওয়া অন্য মোবাইল দুটি (স্যামসাং বাটন ফোন ও রিয়েলমি স্মার্ট ফোন) পুলিশের বিশেষ টিমের মাধ্যমে উদ্ধার করা হয়।

অভিযুক্ত সবুজকে ২৬ সেপ্টেম্বর বিকালে শিবচর বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় সে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেয়। ঘটনাস্থলে তার স্বীকারোক্তি ও উদ্ধারকৃত আলামতসহ সব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অবস) মো. জাহাঙ্গীর আলম। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার জন্য আসামির বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।