নড়াইলের ক্লিন নড়াইল, ড্রিম নড়াইল প্রকল্পের দুর্গন্ধে গ্রামবাসীর মুখে নিষেধাজ্ঞা Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ১১:৪৭ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৫ নড়াইলে ‘ক্লিন নড়াইল, ড্রিম নড়াইল’ শ্লোগানে শহরের ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার জন্য একটি বিশেষ প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। তবে, এই প্রকল্পের কারণে এলাকায় দুর্গন্ধের সৃষ্টি হচ্ছে, যা সাধারণ মানুষের জন্য এক বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পথচারীরা এর তীব্র গন্ধে বিরক্ত হয়ে পড়ছেন এবং দ্রুতই এটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন। সম্প্রদায়ের সদস্যরা চান, যেন এই দুর্গন্ধের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ জীবনযাত্রা বজায় থাকে। নড়াইল পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এই পৌরসভা। ৮০ দশকে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত হওয়ার পাশাপাশি, ২০১৬ সালে ‘ক্লিন নড়াইল, ড্রিম নড়াইল’ নামে একটি পরিকল্পনা চালু হয়। এর লক্ষ্য ছিল শহরের বিভিন্ন বাড়ি থেকে ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহ করে একটি নির্দিষ্ট স্থানে জমা দেয়া। এর জন্য চুক্তিবদ্ধ করা হয় একটি বেসরকারি সংস্থা, বি আই আর ডি, যা পৌরসভার তত্ত্বাবধানে কাজ করে থাকেন। জেলা প্রশাসনও এই কার্যক্রমে সমন্বয় সাধন করে থাকেন। প্রকল্পের শুরু হয় ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে, যেখানে জেলা প্রশাসন দ্রুত কার্যক্রম চালুর জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করে। প্রথমে, নড়াইল-যশোর সড়কের বাস টার্মিনালের সামনের গর্তে ময়লা ফেলার নির্দেশ দেয়া হয়। এর জন্য প্রয়োজনীয় জনবল এবং ভ্যানগাড়ি ব্যবহৃত হয়। তবে, এই গর্তে ময়লা ফেলার কারণে আশপাশের স্থানগুলোতে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে, বিশেষ করে রাতের বেলা এ সমস্যা মারাত্মক রূপ নেয়। শহরের উন্নয়নের জন্য সেনাবাহিনী তদারকি করে রাস্তা প্রশস্তকরণ কার্যক্রম চালানোর সময়, এটি নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলার জন্য অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়। 그러나, সীতারামপুর এলাকায় এই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে শহরের ময়লা আগের মতোই পোড়ানো হচ্ছে, যেখানে দুর্গন্ধজনক অসুবিধা আরোপিত হচ্ছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, পানির পানিসহ কৃষি জমি এবং মাছধরা জলাশয়ে এই দুর্গন্ধের কারণে কাজের পক্ষে দাঁড়ানো দুষ্কর হয়ে পড়েছে। অভিযোগের তীব্রতা বাড়তে থাকায়, প্রবীণ ব্যক্তি মনোরঞ্জন বিশ্বাস বলেন, ‘এখানে যেখানে ময়লা ফেলা হচ্ছে, তার স্বস্তিপূর্ণ পরিবেশের জন্য এরকম পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম অবিলম্বে অন্যত্র স্থানান্তর করা দরকার।’ অন্যদিকে, মৌলিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য অজিত কবিরাজ বা হারান দ্বারাও বলেন, ‘এখানে কোনও অনুমতি ছাড়াই ময়লার ভাগাড় বানানো হয়েছে, যা স্থানীয় মানুষদের ন্যূনতর অসুবিধার মধ্যে ফেলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া আবশ্যক।’ নড়াইল পৌর প্রশাসক জুলিয়া সুকায়না জানান, এলাকাবাসী বা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কেউ এখনও এ ধরনের কোন আবেদন করেনি। তবে, যদি আবেদন আসে তবে বিষয়টি পর্যালোচনা করা হবে এবং প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এছাড়া, প্রয়োজনে নতুন স্থান নির্ধারণের পরিকল্পনাও করা সম্ভব। SHARES সারাদেশ বিষয়: