এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদ একীভূত হচ্ছে

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ১১:৪২ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৫

জনপ্রিয় রাজনৈতিক দলগুলোকে একত্রিত করার আলোচনা চলছে, যার মধ্যে অন্যতম হলো জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও গণঅধিকার পরিষদ। গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেছেন, এই ক্ষেত্রে উভয় দলের নেতাকর্মীরা একত্র হয়ে কাজ করতে উৎসাহী, এবং আলোচনা ইতিবাচক অগ্রগতি করছে। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু মন্তব্য যেন সামাজিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করে, এমন কোন মন্তব্য না করার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানান। রোববার রাতে নিজের ফেসবুক পাতায় এক পোস্টে তিনি এই কথাগুলো তুলে ধরেছেন।

রাশেদ খাঁন আরও জানান, তরুণরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যাওয়ার আলোচনা শক্তিশালী হচ্ছে। তিনি বলেন, যদি এই ঐক্য শক্তিশালীভাবে শুরু হয়, তাহলে দেশের রাজনীতিতে নতুন আমূল পরিবর্তন আসবেই। ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন, ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচন, ২০২১ সালের মোদির আগমন বিরোধী আন্দোলনসহ নানা সময়ে গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপি এক সাথে করোনার হেঁকেছি, তাদের বিরোধীতা করে দীর্ঘ পথচলা হয়েছে। সেই ইতিহাসের ফলে তারাও এখন এক সঙ্গে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে।

বিশেষ করে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র আন্দোলনের প্ল্যাটফর্মে একত্রিত হয়ে কাজ করার সম্ভাবনা উল্লেখ করে রাশেদ খাঁন বলছেন, তরুণদের ঐক্যবদ্ধ করে দেশের জন্য কিছু করতে চান। তিনি অনুরোধ করেছেন, কেউ যেন এই ঐক্যবিরোধী বা বিভ্রান্তিকর মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে না করেন।

অন্যদিকে, রাজনৈতিক দৃশ্যপটে তিনটি প্রধান ব্লকের কথা উল্লেখ করে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, বর্তমানে তারা স্বতন্ত্রভাবে একটি বৃহৎ জোট ক্রিকেটের প্রস্তুতি নিচ্ছেন, যা তরুণদের নিয়ে গঠিত হবে। তিনি নিশ্চিত করেছেন যে, গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপির মধ্যে একীভূত হওয়ার আলোচনা চলমান।

প্রতিনিধিত্বমূলক বৈঠক শেষে এ এনসিপি নেতা সাংবাদিকদের জানান, আগামীতে তারা শাপলা প্রতীকে ভোট দিয়ে এক শত পঁইসির বেশি আসন পাবে বলে তাদের বিশ্বাস। তিনি বলেন, এখন তিনটি বৃহৎ রাজনৈতিক ব্লক তৈরি হচ্ছে— একটি ইসলামিক, একটি বিএনপি নেতৃত্বাধীন, আর একটি এনসিপি নেতৃত্বাধীন। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, এনসিপি আওয়ামীলীগ বা জামায়াতের ক্লিকে যোগ দিচ্ছে না। তারা স্বতন্ত্র থাকছে।

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী আরও জানান, এনসিপি তরুণদের নিয়ে একত্রে কাজ করবে এবং গণমাধ্যমে এই আন্দোলনের অগ্রগতি তুলে ধরা হবে। তিনি বলেছেন, ধীরে ধীরে সব ধরনের ব্যানার ও দলগুলোর সঙ্গে একীভূত হওয়ার প্রক্রিয়া এগুচ্ছে, যাতে বৃহৎ পার্টি ও জোট গঠন সম্ভব হয়। তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামীতে সংসদে উপস্থিতি থাকবে ১৫০ আসন।’

তিনি বলেন, যেখানে জামায়াত বা বিএনপি থেকে তরুণরা অংশ নিয়েছে, তারা তাদের সমর্থন দিয়ে যাবে। এর মাধ্যমে বোঝা যায়, প্রচলিত বড় বড় দলের বাইরে নতুন শক্তি গড়ে উঠছে। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ শূন্য করতে নানা চক্রান্তের মাধ্যমে পথ তৈরি হচ্ছে বলে তিনি মনে করেন।

অবশেষে, এনসিপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, যদি গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে একত্রিত হয়, তবে তাদের প্রতীক থাকবে এনসিপি এর প্রতীক। অন্য দল বা মার্কা বিলুপ্ত হয়ে যাবে, এবং আরও বহু দল এনসিপির ব্যানারে যুক্ত হবে, যাতে বৃহৎ গড়ে তোলা হয় এক শক্তিশালী রাজনৈতিক ধরন।