আমীর খসরু বললেন: দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা নির্বাচনের অপেক্ষায় Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ৭:৪১ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৫ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, শুধু বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা নয়, বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও যারা ভবিষ্যতে বিনিয়োগ করতে চান, তারা সবাই নির্বাচনের দিকে উৎসুকভাবে তাকিয়ে আছেন। তিনি বলেন, ‘একেবারে স্পষ্টভাবে বলছি, এই মুহূর্তে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা তাদের সকল সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন, যতক্ষণ না নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীরা অনেকেই বিনিয়োগ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছেন। সবই নির্বাচন অবসন্ন হওয়ার অপেক্ষায়।’ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, গতকাল রোববার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নেতাদের সঙ্গে ব্যবসায়ী নেতাদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বক্তব্যে আমীর খসরু এসব কথা বলেন। ওই বৈঠকে তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উত্তরণের পরিস্থিতি আমাদের জন্য ভাল নয়। এটি দেশের স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণের প্রক্রিয়া স্বাভাবিকভাবে চলতে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। এছাড়া, শ্রম আইন সংশোধনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, যেখানে দেখা গেছে, বর্তমানে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য এগিয়ে নিতে এই উত্তরণে কিছু বাধা সৃষ্টি হতে পারে। এর ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতি, বিনিয়োগ এবং ব্যবসার ভবিষ্যৎ ঝুঁকিতে পড়তে পারে। বাংলাদেশি অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দ্রুত এই উত্তরণে বিলম্ব হলে ক্ষতি হবে। অতএব, এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্য নতুন পরিকল্পনা নেওয়া প্রয়োজন। এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা চললেও, ব্যবসায়ীরা জানিয়ে দিয়েছেন যে, তারা এখনই এই উত্তরণ স্থগিত করতে চান না। বরং, অল্প সময়ের জন্য এ প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়ার পক্ষে তারা। ফলে, ব্যবসায়ীরা প্রস্তুত নন এই উত্তরণের জন্য। বিশেষ করে তৈরি পোশাকশিল্পের একাধিক নেতার মতে, এই মুহুর্তে তাদের মূল লক্ষ্য হলো, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের ডিফেমেন্ট ও শ্রম আইন সংশোধন প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ না করে, সময়ের জন্য এগুলো স্থগিত রাখা। তারা জানাচ্ছেন, এই জন্য তারা অবিলম্বে জাতীয় পর্যায়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই সব বিষয়গুলো সঠিকভাবে সমাধান করতে পারলে, বাংলাদেশ আগামী দিন আরও অর্থনৈতিক উন্নয়ন করতে সক্ষম হবে। SHARES রাজনীতি বিষয়: