এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদ একীভূত হচ্ছে Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ৭:৪১ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৫ জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং গণঅধিকার পরিষদ একীভূত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে ইতিবাচক আলোচনা জোরেশোরে চলছে। গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন এ ব্যাপারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন, এমন মন্তব্য যেন কেউ না করেন যা এই ঐক্যপ্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। রোববার রাতে ফেসবুক পোস্টে তিনি এই অনুরোধ জানান। তিনি প্রকাশ করেন, তরুণরা ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে, যা দেশটির রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তনের সূচনা হতে পারে। রাশেদ খাঁন বলেন, পূর্বে গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপির নেতাকর্মীদের মধ্যে কোটা সংস্কার আন্দোলন, ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচন, ২০২১ সালে মোদির আগমন বিরোধী আন্দোলনসহ নানা রাজপথের সংগ্রামে একসঙ্গে যাত্রা করার ইতিহাস রয়েছে, এবং এই ঐক্য নূতন রাজনৈতিক নমুনা সৃষ্টি করবে বলে তাদের বিশ্বাস। তিনি আরো যোগ করেন, ২০২৪ সালে গণঅভ্যুত্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্ল্যাটফর্মে একসঙ্গে কাজ করার সখ্যতা রয়েছে। দেশের তরুণ সমাজ এই ঐক্যকে সফল করে তুলতে চান, আর এটাই দৃঢ় প্রত্যাশা। উভয় দলের নেতারা ইতিমধ্যেই এই এক্রীভূত হওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে কোনো ধরনের বাজে মন্তব্য এড়ানোর জন্যও তিনি সকলকে অনুরোধ করেন। অপরদিকে, নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক, মন্তব্য করেন যে, দেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে এখন তিনটি মূল ব্লক তৈরি হচ্ছে। তিনি বলছেন, স্বতন্ত্রভাবে তিনি নেতৃত্বে একটি বড় জোট আসছে, যা তরুণদের নিয়ে তৈরি হবে সবচেয়ে বড়। তিনি নিশ্চিত করেন যে, এনসিপি গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে একীভূত হওয়ার গুঞ্জন সত্য এবং এর জন্য আলোচনাও চলমান। এনসিপির পক্ষ থেকে বলা হয়, তাদের লক্ষ্য তরুণদের একত্রে কাজ করতে দেওয়ানো ও গণমাধ্যমে এই বিরোধ বা একীভূত হওয়ার বিষয়গুলো প্রকাশ করা। তিনি আরো জানান, তারা ইতিমধ্যে সম্মত হয়েছেন, বিষয়টি আদর্শগত ও নীতিগত ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে; এটি কোনো দামী বা সংখ্যাগত বিষয় নয়। নাসীরুদ্দীন বলেন, তার দল দীর্ঘদিন ধরে গণঅভ্যুত্থান, ফ্যাসিবাদ বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। ১৫ বছর আগে যা আন্দোলন শুরু হয়েছিল, সেই তরুণরাই এখন এনসিপির ব্যানারে যোগ দেওয়ার জন্য সম্মত হয়েছেন। তিনি আরও জানান, এই ঐক্যগত প্রচেষ্টায় বড় লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে তরুণপ্রজন্মের নেতৃত্বে বৃহৎ জোট গঠন। তিনি দাবি করেন, ভবিষ্যতে এই সংসদে আওয়ামী লীগ বা জাতীয় পার্টির কোনও স্থান থাকছে না এবং ভোটের মাধ্যমে বর্তমান শাসন ব্যবস্থা পাল্টে দেবে দেশবাসী। এছাড়া, যদি গণঅধিকার পরিষদ এনসিপির সঙ্গে একীভূত হয়, তখন পার্টির নাম ও প্রতীক একই থাকবে, আর অন্যান্য দলও তার আওতায় আসবে। তিনি জানান, এটি হবে একটি বৃহৎ দল, যেখানে বিভিন্ন দলের মিছিল, ব্যানার এবং মতামত একসাথে চলবে, ইনশাআল্লাহ। SHARES রাজনীতি বিষয়: