বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রথমবারের মতো এয়ারপ্লেন অ্যামেনিটি ব্যাগ ও কিট উৎপাদনের জন্য চীনা বিনিয়োগ

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ২:৩৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৫

বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা) দেশের শিল্পখাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচনের লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো এয়ারপ্লেন অ্যামেনিটি ব্যাগ ও কিট উৎপাদনে উদ্যোগী একটি প্রতিষ্ঠানকে স্বাগত জানিয়েছেন। এই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের ফলে দেশীয় শিল্পে বৈচিত্র্য আসবে এবং নতুন নতুন পণ্যের সংযোজন হবে। চীনের কেএমকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল লিমিটেড এই প্রকল্পের জন্য ১৮.৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে। এর মাধ্যমে শিগগিরই কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে ১,২৩১ বাংলাদেশি নাগরিকের জন্য, যা আমাদের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক এক খবর।

বিপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান, বিএসপি, এনডিসি, পিএসসি এর সভাপতিত্বে, বেপজার সদস্য (বিনিয়োগ উন্নয়ন) জনাব মোঃ আশরাফুল কবীর এবং কেএমকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল লিমিটেডের চেয়ারম্যান উ ইউজিয়াং ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

প্রাথমিকভাবে, প্রতিষ্ঠানটি এই প্রকল্পের আওতায় এয়ারপ্লেন অ্যামেনিটি ব্যাগ তৈরি করবে। পরে ধীরে ধীরে তার উৎপাদন বিস্তার করে মোজা, তৈরি পোশাক, এক্সেসরিজ, কসমেটিকসের পাশাপাশি হেডফোন ও ইউএসবি কাভারসহ কিছু ইলেকট্রনিক পণ্য উৎপাদন করবে, যা বেপজার শিল্পখাতে নতুন ধারার সংযোজন হবে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে নিজের বক্তব্যে বেপজা নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান বলেন, ‘আমরা এই বিনিয়োগের জন্য কৃতজ্ঞ, কারণ এটি বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে একটি বড় কার্যক্রম ও বৈচিত্র্য আনবে। আমরা বিনিয়োগকারীদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজস্ব উৎপাদন সক্ষমতা গড়ে তুলতে উৎসাহিত করছি এবং বাসিন্দাদের জন্য সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করছি। এই প্রকল্পটি দেশের রপ্তানিমুখী শিল্পের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।’

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বেপজার সদস্য (প্রকৌশল) আব্দুল্লাহ আল মামুন, সদস্য (অর্থ) আ ন ম ফয়জুল হক, নির্বাহী পরিচালক (বিনিয়োগ উন্নয়ন) মোঃ তানভীর হোসেন, নির্বাহী পরিচালক (এন্টারপ্রাইজ সার্ভিসেস) মোঃ খুরশিদ আলম, নির্বাহী পরিচালক (প্রশাসন) মোঃ সালাহউদ্দিন, নির্বাহী পরিচালক (জনসংযোগ) এ.এস.এম. আনোয়ার পারভেজ এবং কেএমকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল লিমিটেডের প্রতিনিধিরা। এই সমঝোতা দেশের শিল্প খাতের জন্য এক নতুন যুগের সূচনা বলে মনে করা হচ্ছে।