বিএসসির নিজস্ব অর্থায়নে জাহাজ সংগ্রহের যুগান্তকারী মাইলফলক Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ২:৩১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৫ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (বিএসসি) নিজস্ব অর্থায়নে দুটি আধুনিক বাল্ক ক্যারিয়ার জাহাজ সংগ্রহের পরিকল্পনা সম্পন্ন করেছে। এই লক্ষ্যে সম্প্রতি বিএসসি এবং সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হেলেনিক ড্রাই বাল্ক ভেঞ্চারস এলএলসি এর মধ্যে জাহাজ সরবরাহের চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়। রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন ও শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম. সাখাওয়াত হোসেন। একেএই অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন উপদেষ্টা জানান, দেশের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো বিএসসির নিজস্ব অর্থায়নে জাহাজ কেনা হচ্ছে, যা সত্যিই একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। নতুন এই দুটি জাহাজ বিএসসির বহরে যুক্ত হলে দেশের শিপিং শিল্পে বছরে প্রায় ১৫০ কোটি টাকার অর্থনৈতিক উন্নতি হবে। এর ফলে বিএসসির নিজস্ব পরিবহন সক্ষমতা প্রায় ১,২০,০০০ ডিডব্লিউটি বৃদ্ধি পাবে, যা দেশের সমুদ্র বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। এই কার্যক্রমের შედეგად বাংলাদেশ বিশ্বদরবারে পরিবেশবান্ধব গ্রিন শিপিংয়ের সম্মান অর্জন করবে। নতুন জাহাজগুলোতে জ্বালানি খরচ কমানোর পাশাপাশি পরিচালন দক্ষতা বাড়ানো হয়েছে। প্রধান ইঞ্জিন থেকে নাইট্রোজেন অক্সাইড নির্গমন নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে, যা পরিবেশের জন্য উপকারী। জাহাজগুলো আধুনিক ডিজাইন ও প্রযুক্তিগত সমাধানে পরিবেশবান্ধব এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ইউরোপীয় এবং জাপানি উন্নত মানের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে তৈরি এসব জাহাজ চীনে জার্মান লাইসেন্সে উৎপাদিত হয়েছে। স্পেনের পাম্প এবং নরওয়ের কম্প্রেসারও ব্যবহার করা হয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষরের পর প্রথম জাহাজ ২০২৫ সালের অক্টোবর এবং দ্বিতীয় জাহাজ ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে বিএসসিকে হস্তান্তর করা হবে। এরইমধ্যে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে আরও তিনটি জাহাজ কেনার প্রক্রিয়া চলছে, ফলে সরকারের সময়কালে মোট পাঁচটি নতুন জাহাজ কেনা হচ্ছে। এই উদ্যোগের ফলে শুধু অর্থনৈতিক লাভ নয়, বরং বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মেরিটাইম বাজারে একটি ‘গ্রীন শিপিং নেশন’ হিসেবে নিজের অবস্থান আরও সুদৃঢ় করবে। SHARES জাতীয় বিষয়: