পিআর পদ্ধতির ব্যাপারে সাধারণ মানুষের ধারণা কম Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ২:৩১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৫ আগামী বছর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ৯৪ দশমিক ৩ শতাংশ ভোটার ভোট দিতে ইচ্ছুক থাকলেও, দেশের বেশিরভাগ মানুষই নির্বাচন ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়—আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি সম্পর্কে জানে না বা কোনো ধারণা নেই। এই তথ্য সম্প্রতি প্রকাশিত এক জরিপ থেকে জানা গেছে। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইনোভিশন কনসালটিংয়ের ‘জনগণের নির্বাচন ভাবনা’ শীর্ষক দ্বিতীয় দফার জরিপে এ ফলাফল উঠে আসে। রাজধানীর ডেইলি স্টার ভবনে গত রোববার এক গোলটেবিল আলোচনায় এই জরিপের ফলাফলের উপস্থাপনা করেন ইনোভিশন কনসালটিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবাইয়াৎ সারওয়ার। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। জরিপের জন্য সেপ্টেম্বর মাসের ২ থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত দেশের ৬৪ জেলার ১০ হাজার ৪১৩ জন নাগরিকের মতামত নেওয়া হয়। বিভিন্ন বয়সের মানুষের মধ্যে সরাসরি প্রশ্নের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এই জরিপে অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রম, নিরপেক্ষ নির্বাচন, নির্বাচনী পরিবেশ, আইনশৃঙ্খলা, ভোটের সময় ও ভোটার উপস্থিতি—এসব বিষয় নিয়ে পাবলিকের অভিমত নেওয়া হয়। ফলাফল অনুযায়ী, জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৭৮ দশমিক ৭ শতাংশ সরকার কার্যক্রমে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। এর মধ্যে ৩৯ দশমিক ৫ শতাংশ বলেছেন সরকার বেশ ভাল রয়েছে, আবার ৩৯ দশমিক ২ শতাংশ বলেছেন মোটামুটি কার্যক্রম চলছে। উল্লেখ্য, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ৮৬ দশমিক ৫ শতাংশ ভোটার এই নির্বাচনের পক্ষে সমর্থন দিয়েছেন। এর মধ্যে ৬৯ দশমিক ৯ শতাংশ মনে করেন, একটি নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন চালাতে পারবে। এছাড়াও, ৭৭ দশমিক ৫ শতাংশ ভোটার বিশ্বাস করেন তারা নির্ভয়ে এবং নিরাপদে ভোট দিতে পারবেন। তবে আশ্চর্যের বিষয়, যেখানে ভোটারদের বেশিরভাগই নির্বাচনে অংশগ্রহণে আগ্রহ দেখাচ্ছেন, সেখানে পিআর পদ্ধতি সম্পর্কে ৫৬ শতাংশের কোনো ধারণা নেই। জানা গেছে, প্রবীণ প্রজন্মের তুলনায় নবীন প্রজন্মের মধ্যে এক্ষেত্রে সচেতনতা ও ইতিবাচক মনোভাব বেশি। অপরদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা সাধারণ ভোটারদের তুলনায় নির্বাচনে কম আগ্রহী এবং তাদের মধ্যে দ্বিমত বেশি। এছাড়াও, ধর্মীয় সংখ্যালঘুসমূহ অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা ও নির্বাচনের প্রক্রিয়া নিয়ে তুলনামূলকভাবে কম ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে শফিকুল আলম বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ১৪তম মাস পার হতে না হতেই প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষের সমর্থন দেখানো ইঙ্গিত দেয় যে, সরকার জনগণের প্রাপ্তি ও সন্তুষ্টি অর্জন করতে সক্ষম। তিনি যোগ করেন, দেশের মানুষ আবারো নির্বাচন চ্ছে এবং দেশ এগিয়ে যাচ্ছে ভালো ভবিষ্যতের দিকে। গত কয়েক বছর কঠোর সময় অতিবাহিত হলেও এখন সবাই আশা করছে, ফেব্রুয়ারির মধ্যেই নির্বাচন সম্পন্ন হবে। তিনি উল্লেখ করেন, দেশের ৯৫ শতাংশ মানুষের আস্থা ও আশাবাদ থাকলে কারও পক্ষে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা সম্ভব নয়। আরও বক্তারা মধ্যে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক বিশেষ সহকারী সাইমুম পারভেজ, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রাশনা ইমাম, ভয়েস ফর রিফর্মের সহ–আহ্বায়ক ফাহিম মাশরুর, বিআরএআইএনের নির্বাহী পরিচালক শফিকুর রহমান ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতা সৈয়দ হাসিব উদ্দিন হোসেন। SHARES জাতীয় বিষয়: