নওগাঁয় প্রতি মাসে আড়াই কোটি টাকার কাঁচা মরিচের ব্যবসা Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ২:৩৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৫ নওগাঁ জেলার মহাদেবপুরের মومিনপুর বাজারে দেশের বৃহত্তম কাঁচা মরিচের পাইকারি বাজার রয়েছে। এই বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম ইতিমধ্যে ৬০ থেকে ৭০ টাকা চলে এসেছে, যা দুই দিন আগে ছিল ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা। দাম হঠাৎ এভাবে পড়ে গেলে কৃষকরা হতাশ হয়ে পড়েছেন, কারণ এতে তাদের অনেক ক্ষতি হবে। অন্যদিকে, ব্যবসায়ীরা বলছেন যে, ভারত থেকে কাঁচা মরিচের আমদানি বেড়েছে, যার ফলে এ ধরনের দাম পতন ঘটে চলেছে। প্রতিদিন মহাদেবপুরের এই বাজারে কাঁচা মরিচের বিক্রয় হয়। এই হাট বছরে ধারাবাহিকভাবে ৬ থেকে ৭ মাস চালু থাকে। এখান থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে—ঢাকা, রাজশাহী, সিলেট, চট্টগ্রাম, দিনাজপুরসহ আশে-পাশের বেশ কিছু জেলা—কাঁচা মরিচ সরবরাহ করা হয়। মোমিনপুরের কুঞ্জবন এলাকার কৃষক সোলেমান আলী ও গুলবর রহমান জানান, এ বছর আবহাওয়া অনুকূল থাকায় মরিচের ফলন ভালো হয়েছে। তবে বাজারে দাম কমে যাওয়ায় কৃষকদের জন্য লাভের মুখ দেখার আশায় কমে গেছে। মরিচ চাষে অনেক খরচ হলেও, এখন পর্যন্ত তারা যে পরিমাণ বিক্রি করেছেন, তা শ্রমিকের মজুরি, কীটনাশক ও অন্যান্য খরচ মিটিয়ে দ্বিগুণ খরচই হয়। এক কেজির মরিচের দাম প্রথমে ১৩০-১৫০ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করলেও এখন তা কমে ৬০-৭০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। বগুড়ার এক ব্যবসায়ী সুজন মিয়া বলেন, এই হাটের মরিচ দেশের বিভিন্ন শহরে যায়। তবে, ভারতের মরিচ আমদানি বেড়ে যাওয়ায় এই পতন ঘটেছে। মোহনিপুর হাটের কমিটির সদস্য মামুনুর রশিদ বলেন, এটি জেলার সবচেয়ে বড় কাঁচা মরিচের বাজার এবং বছরে ৬ থেকে ৭ মাস এ বাজার চালু থাকে। প্রতি মাসে আনুমানিক দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার মরিচের বেচাকেনা হয়। কিন্তু দাম কমে যাওয়ায় কৃষকরা ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, আবহাওয়া ভালো থাকায় মরিচের ফলন খুবই ভালো হয়েছে। প্রথম দিকে বাজারে দাম ভালো ছিল, তবে এখন কিছুটা কমে যাওয়ায় কৃষকরা লাভবান হবেন। আমরা কৃষকদের পরামর্শদিয়ে এবং সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি। বর্তমানে নওগাঁর ৭৫০ হেক্টর জমিতে এই মরিচের চাষ হচ্ছে। SHARES অর্থনীতি বিষয়: