মহেশখালী-মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর মাছ রপ্তানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ২:৩৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৫

নির্মাণাধীন মহেশখালী-মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরের উন্নত অবকাঠামো ও লজিস্টিক সুবিধা দেশের মৎস্য ও সামুদ্রিক খাদ্য রপ্তানি খাতে বড় ধরনের প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা সৃষ্টি করছে। এই তথ্য জানিয়েছেন শিল্পসংশ্লিষ্টরা। মহেশখালী-মাতারবাড়ি ইন্টিগ্রেটেড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট উদ্যোগের অংশ হিসেবে এই সমুদ্রবন্দর নির্মাণে সহায়তা দিচ্ছে জাপান, যা চট্টগ্রাম বন্দরের জট কমাতে এবং বড় জাহাজের সরাসরি চলাচল সম্ভব করে তুলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এটি মূলত মৎস খাতে সরাসরি প্রভাব ফেলবে কারণ কোল্ড চেইন নিশ্চিত রেখে দ্রুত পরিবহনের সুবিধা তৈরি হবে। স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম একে বলছেন, নতুন এই বন্দরে হিমায়িত মাছ ও সামুদ্রিক খাদ্য দ্রুত পরিবহন করা যাবে, ফলে পচন রোধে সতেজতার মান রক্ষার পাশাপাশি বিশ্ব বাজারে পণ্যের মানোন্নতিতে সহায়তা করবে। মাতারবাড়ির জেলে মোহাম্মদ আলী বলেন, গভীর সমুদ্রবন্দর চালু হলে তারা ধরা মাছ দ্রুত রপ্তানি করতে পারবেন, যার ফলে তাদের ন্যায্য মূল্য পাবেন এবং জীবনমান উন্নত হবে। বাংলাদশের সামুদ্রিক মাছ ধরা ও প্রক্রিয়াজাতকরণ এখনো বিকশিত হয়নি, তবে মহেশখালী-মাতারবাড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (মিডা) উদ্যোগে এই খাতে বিপুল সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্বে মোট মাছের প্রায় ৭ শতাংশ বঙ্গোপসাগর থেকেই আসে, এবং প্রায় ৪৫ কোটি মানুষ এই ‘ব্লু ইকোনমি’ এর ওপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশ ‘ইন্ডিয়ান ওশান টুনা কমিশন’ (আইওটিসি) এর সদস্য হিসাবে নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় মাছ ধরার অনুমতি পায়, তবে অন্যান্য প্রজাতির টুনা মাছের জন্য কোটা পাওয়া যায়। বর্তমানে কোটা প্রায়ই অপূরণীয়। এর সমাধানে ও গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার জন্য ২৮টি লংলাইনার ফিশিং জাহাজ তৈরির বা আমাদানি করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। মাতারবাড়ি বন্দর চাঁকড়িয়া চিংড়ি শিল্পসহ অন্যান্য উদ্যোক্তাদের জন্য ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানে দ্রুত পণ্য রপ্তানি করতে সহায়তা করবে। এই বন্দর রপ্তানি প্রক্রিয়ার সময় ও ব্যয় কমিয়ে মানসম্পন্ন পণ্য যেমন ফিলে, স্মোকড মাছ, রেডি-টু-ইট সামুদ্রিক খাদ্য রপ্তানির ক্ষেত্রকেও প্রশস্ত করবে। उदाहरण হিসেবে বলা যায়, স্ক্যালপ মাছের প্রক্রিয়াজাতকরণ ও রপ্তানি থেকে উল্লেখযোগ্য অর্থ যথা ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পর্যন্ত আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি, মিডার শক্তিশালী লজিস্টিক সুবিধা দেশে নতুন বিনিয়োগের জন্য দিকনির্দেশনা প্রদান করবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।