নেপালে শান্তির পথে ফেরত সমাজ ওPolitics

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ২:৪২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৫

নেপালের রাজধানী কুশলে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক পরিস্থিতির দিকে ফিরছে। কারফিউ শিথিল হওয়ার ফলে সাধারণ মানুষ আরামে রাস্তাঘাটে বের হতে শুরু করেছেন, জীবনযাত্রা আবার তুলনামূলকভাবে স্বাভাবিক হয়ে উঠছে। শনিবার সকালে রাস্তায় পরিবেশ অনেকটাই শান্ত হয়ে এসেছে, দোকানপাট খুলে গেছে এবং যানবাহন চলাচল আবার স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।

গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ৭৩ বছর বয়সী সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি অন্তর্বর্তীকালীন নেতা হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার, দেশটিতে ভয়াবহ বিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি পদত্যাগ করেছিলেন।

নেপালে ২০০৮ সালে এক দশকব্যাপী গৃহযুদ্ধের পর রাজতন্ত্রের বিলুপ্তির মাধ্যমে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে আসার প্রক্রিয়া শুরু হলেও, সম্প্রতি ভয়াবह বিক্ষোভে কমপক্ষে ৫১ জন নিহত হয়েছে। সরকার পতনের চেষ্টায় সহিংস প্রতিবাদ, সংসদে আগুন দেওয়া ও রাস্তায় বিশাল সংখ্যক সৈন্যের মোতায়েনের ঘটনা ঘটেছিল। তবে এখন পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়েছে, সেনাদের উপস্থিতি কমানো হয়েছে, খবর এএফপি’র।

নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে দেশটি দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের ঘোষণা দিয়েছে। শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার ও দুর্নীতিমুক্ত ভবিষ্যত তৈরি করাই এখন লক্ষ্য। সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য অবস্থান নিয়ে দেশটির নেতা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।

অর্থাৎ, দুর্নীতিমুক্ত দেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন। পাশাপাশি, সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে এবং ২০২৬ সালের ৫ মার্চ নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে।

অভিনন্দন জানিয়েছেন অনেক নেপালি, বিশেষ করে সমাজকর্মী সুরজ ভট্টরাই (৫১), যিনি বলেন, ‘নেপাল এবার প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী পেয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, প্রধানমন্ত্রী ও সাবেক বিচারপতি দুর্নীতির কঠোর বিরোধিতা করবেন এবং শাসন ব্যবস্থা জোরদার করবেন।

কর্মরত ব্যবসায়ী দুর্গা মাগার (২৩) বলেন, ‘আন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সিদ্ধান্ত এখনো ভালো লাগছে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে দুর্নীতি। তরুণরাও এই দুর্নীতি থেকে মুক্তি চায়। ’ তিনি বলেন, ‘এখন যা পরিস্থিতি, তাতে ভবিষ্যতের কি হবে জানিনা, তবে আজ আমরা সন্তুষ্ট। আশা করি, আসন্ন দিনে পরিস্থিতি এতটা উত্তেজনাপূর্ণ থাকব না।’

তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন অনেক চ্যালেঞ্জ পূর্ণ। এর রূপকথা সত্যি রূপ নেবে কি না, তা সময়ই বলবে।