সমুদ্রগামী জাহাজ আমদানিতে মূলসুদ ছাড়ের সিদ্ধান্ত

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ২:৩১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৫

সরকার সাড়ে ৭ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (মূসক) থেকে ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা ৫ হাজার ডিডব্লিউটির বেশি ধারণক্ষমতা সম্পন্ন সমুদ্রগামী জাহাজের জন্য। এই সিদ্ধান্তটি আজ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অনুমোদিত হয়। সভার সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, এই সিদ্ধান্তের ফলে জাহাজ আমদানির সহজতা বাড়বে। সেটির ফলে সরকার ও বেসরকারি খাতে জাহাজ সংগ্রহের ব্যবস্থা আরো সুবিধাজনক হবে, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির পাশাপাশি বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে তার সক্ষমতা আরও ত্বরান্বিত করবে বলে সিদ্ধান্তে আশা প্রকাশ করা হয়।

এছাড়াও, সভায় ফিলিস্তিনিদের প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকার ও সমর্থন অব্যাহত রাখার বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে। প্রেস সচিব বলেন, বাংলাদেশ সব সময় ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহত। নিউইয়র্কে জাতিসংঘের হাই-লোভেল ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন দ্য পিসফুল সেটেলমেন্ট অব দ্য কোশ্চেন অব প্যালেস্টাইন’ সম্মেলনে বাংলাদেশের অবস্থান পরিষ্কারভাবে তুলে ধরা হবে। এছাড়াও, ১৫ সেপ্টেম্বর দোহায় ওআইসির জরুরি সম্মেলনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মো. তৌহিদ হোসেন উপস্থিত থাকবেন।

সভায় সংস্কার কমিশনের অগ্রগতি সম্পর্কেও আলোচনা হয়েছে। প্রেস সচিব জানিয়েছেন, বর্তমানে ৫১টি সুপারিশ বাস্তবায়িত হয়েছে, ৩৭টি আংশিক এবং আরও কিছু বাস্তবায়নের পথে। কিছু সুপারিশ রাজনৈতিক প্রকৃতির, যেগুলো নির্বাচিত সরকারের সময় বাস্তবায়িত হবে। তিনি বলেন, অনেকের ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে যে সংস্কার হচ্ছে না, যা সত্য নয়। ব্যাংকিং, এনার্জি, রাজস্ব, শ্রম—প্রত্যেক খাতে ধারাবাহিকভাবে সংস্কার অব্যাহত রয়েছে।

শ্রম বিষয়ক অগ্রগতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। প্রেস সচিব জানিয়েছেন, শ্রম কমিশনের ৮২টি সুপারিশের বেশিরভাগই ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে বা কার্যকর হচ্ছে। শ্রম আইন সংশোধন হলে আরও অনেক কার্যকর হবে। বাংলাদেশ শ্রম মন্ত্রণালয় আইএলও’র সহায়তায় কাজ করছে। গত বছর অদ্দিন ১৮ দফা ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে, যার ফলে শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্তও কার্যকারিতা পেয়েছে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।