সিঙ্গাপুরের জালে বাংলাদেশের চার গোলের ঝড়

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ২:৪০ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৫

এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে বাংলাদেশ দলের শেষ ম্যাচে দারুণ এক জয় করেছেন সৌরাষ্ট্রের যুব ফুটবলাররা। টানা দুই ম্যাচ হেরে মূল পর্বে যাওয়ার সম্ভাবনা শেষ হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু এই ম্যাচে সবাইকে চমকে দিয়ে বাংলাদেশ সিঙ্গাপুরকে ৪-১ গোলে হারিয়েছে। মঙ্গলবার ভিয়েতনামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা জ্বলে উঠেছেন অসাধারণভাবে। মূলত দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে তারা সফল হন দারুণ আক্রমণ চালিয়ে ধরনের চারটি গোল করার মাধ্যমে। এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের গোলের প্রথম ইনজুরি সময়ে পাফমিদুলের আরেকটি দুর্দান্ত গোল ছিল। প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি বাংলাদেশ, তবে দ্বিতীয়ার্ধে তারা যেন নতুন প্রাণে ফিরে আসে। ৭০-৮২ মিনিটের মধ্যে বাংলাদেশ ৪ গোল করে দৃঢ় করে জয়ের ধারা। ফাহমিদুল প্রথমে মাঠে নামার পরে দারুণভাবে শট নেন এবং গলটি করে বাংলাদেশের জার্সিতে এটি তার প্রথম গোল। এরপর দুই মিনিটের ব্যবধানে অল আমিনের দুর্দান্ত শট গোলের কাঁটা আরও বাড়ায়। এরপর, ৮ মিনিটের মধ্যে মহসিন আহমেদ জয়সূচক গোল করে দলের জন্য আরও বড় সুবিধা এনে দেন। দলের অধিনায়ক শেখ মোসরালিনও শেষ গোলটি করেন ৮২তম মিনিটে, যা ম্যাচের চূড়ান্ত ফলাফল নিশ্চিত করে। ম্যাচের শেষ সময়ে সিঙ্গাপুর এক গোল করে ঠিক ঠিক জয়ের ব্যবধানটি খানিকটা কমায়। দলের হেড কোচ সাইফুল বারী টিটু হাসপাতালে থাকলেও ডাগ আউটে ছিলেন সহকারী কোচ হাসান আল মামুন। দ্বিতীয়ার্ধে ফাহমিদুল ইসলামকে মাঠে নামানো হয়, যার ফলে দলের আক্রমণ প্রাবল্য পেল। এই খেলোয়াড়ের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ রক্ষণের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়। তিনি ও আল আমিনের ধীর গতি ও দুরন্ত স্কিল সিঙ্গাপুরের রক্ষণভাগে ধস সৃষ্টি করে। ম্যাচের শেষ দিকে দেশের ইংল্যান্ড প্রবাসী কিউবা মিচেলকে নামিয়ে দলের ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন কোচ। এই জয় বাংলাদেশ ফুটবল ইতিহাসে বড় এক অর্জন, কারণ এত দিন তারা এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ টুর্নামেন্টে কোন ম্যাচ জেতে পারেনি। জয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই ম্যাচের পর বাংলাদেশ প্রত্যাশা ছিল মূল আসরে খেলার। প্রথমবারের মতো ২৩ দলের অংশগ্রহণে আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়, কিন্তু সেটি সফল হয়নি। আজকের এই জয়ের ফলে বাংলাদেশ স্বল্প ক্ষণিকের জন্য হলেও স্বস্তিতে ফিরে গেছে, এবং আগামী দিনে আরও ভালো পারফরম্যান্সের আশা রাখছে।