কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ও তার মাতার মৃত্যু রহস্যে পশ্চিমাঞ্চল Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ২:৩৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৫ কুমিল্লা নগরীতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী ও তার মায়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার ভোরের আলোয় নগরীর কালিয়াজুড়ি খেলার মাঠের পাশে একটি ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে তারা কিভাবে মারা গেছেন এবং মৃত্যুর কারণ এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নিহতরা হলেন গৃহিণী তাহমিনা আক্তার ফাতেমা (৫২) এবং তার মেয়ে সুমাইয়া আক্তার রিন্তি (২৩)। রিন্তি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী হিসেবে পড়াশোনা করতেন। বাড়ির মালিক আনিছুল ইসলাম রানা জানান, চার বছর আগে তিনি এই বাড়ি ভাড়া নেন। তার মৃত্যুর পর তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তার ফাতেমা ও মেয়ে সুমাইয়া আফরিন রিন্তি সহ আরও দুই ছেলে সেখানে থাকেন। তারা বেশিরভাগ সময় একসঙ্গেই থাকতেন। গতকাল রাতে, যখন তার দুই ছেলে ঢাকা থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন, তারা বাড়ির দরজা খোলামেলা দেখেন। প্রথমে মনে করেন, মা ও বোন ঘুমিয়ে রয়েছেন। কিন্তু যখন তারা দরজার কাছে যান এবং ভিতরে প্রবেশ করেন, সেখানে তারা দেখতে পান দুইজনই নড়ে-চড়ে না। অনেক চেষ্টা করেও তাদের জাগানো যায়নি। এরপর তারা দ্রুত ৯৯৯ কল করে পুলিশকে খবর দেন। সকালে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, বাসার সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গেছে, রবিবার দিনের বেলায় একজন ব্যক্তি তাদের বাসায় এসে যাওয়া-চলে যান। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। স্থানীয়রা মনে করছেন, এটি একটি হত্যাকাণ্ড, তবে কিভাবে ঘটেছে এখনো নিশ্চিত নয়। নিহত তাহমিনার বড় ছেলে মো. তাজুল ইসলাম ফয়সাল (৩৪) বলেন, তার পরিবারে দুই ভাই ও এক বোন। ছোট ভাই কুমিল্লা ইপিজেডে চাকরি করেন এবং ঢাকায় একজন আইনজীবী হিসেবে কাজ করেন। তিনি বলেন, গতকাল তার বাবা-মা ও বোনের মরদেহ দেখতে পান। পরে পুলিশ এসে মরদেহ নিয়ে যায়। ফয়সাল আরও বলেন, দুর্বৃত্তরা তার মা ও বোনকে হত্যা করে মোবাইল, ল্যাপটপ এবং কানের দুল চুরি গেছে। কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহিনুল ইসলাম বলেন, এটি একটি হত্যা ঘটনা। তবে হত্যার কারণ ও ধরন এখনো স্পষ্ট হয়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরে আরও বিস্তারিত জানা যাবে। SHARES সারাদেশ বিষয়: