কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে পুলিশের সামনে একটি সালিশি বৈঠকের সময় যুবককে অধ্যুষিত ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে পুলিশ আটক করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটার সময়, করিমগঞ্জ থানার সামনের একটি চায়ের দোকানে। নিহত মজনু মিয়া (৩০) জেলার জয়কা ইউনিয়নের কান্দাইল ক্ষিদিরপুর গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে। তিনি একজন মুদি দোকানী। পুলিশ জানায়, দীর্ঘ দিন ধরে জয়কা এলাকার তোতা মিয়া ও ইসলাম উদ্দিনের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এই বিরোধের কারণে বিভিন্ন সময় ছুরি-ছোরা সহ অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি, ইসলাম উদ্দিনের লোকজন তার পক্ষের বাড়িঘর ভাঙচুর করলে ঘটনাটি থানায় জানানো হয়। এ পরিস্থিতিতে করিমগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুল আলীম এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা নিয়ে উভয় পক্ষকে থানায় ডেকে আনেন। শুক্রবার বিকেলে, এই পুলিশের উপস্থিতিতে করিমগঞ্জ থানার সামনে একটি চায়ের দোকানে উভয় পক্ষের মধ্যে সালিশি বৈঠক চলাকালীন, হঠাৎ দুপক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। এই চাপানউতোরের মাঝে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন মজনু মিয়া। তাকে প্রথমে করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়, থেকে তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় যোগসূত্র থাকা চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। ওসি মোহাম্মদ মাহবুব মুর্শেদ এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।