আজ বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ২:৩২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৫

আজ ১ সেপ্টেম্বর, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) তার ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করছে। এ উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি, যার মধ্যে আলোচনা সভা ও শোভাযাত্রা রয়েছে। এই দিনটি স্মরণ করে দলটি তাদের নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের অবদানের জন্য শ্রদ্ধা জানাবে। জিয়াউর রহমান বিগত শতকের শেষের দিকে ১৯৭৮ সালের এই দিনে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন, উদ্দেশ্য ছিল দেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা, পাশাপাশি বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা। ১৯৮১ সালে চট্টগ্রামে এক সামরিক অভ্যুত্থানে শহীদ হন তিনি। এর পরে, তার সহধর্মিণী খালেদা জিয়া ১৯৮৩ সালে দলের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন এবং সেটিই দেশের রাজনীতিতে নতুন আরও শক্তি যোগায়। পুনরায় স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে সাহসী লড়াইয়ে তিনি নেতৃত্ব দেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশবাসীর কাছে স্বপ্নের স্বজনপ্রিয় নেতা হিসেবে পেছনে থেকে দলের নেতৃত্ব চালিয়ে যাচ্ছেন। আজ সকালে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশব্যাপী দলের বিভিন্ন অফিসে পতাকা উত্তোলন এবং শহীদ জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হবে। এই অনুষ্ঠানগুলোতে অংশ নেবেন দলের মহাসচিব, কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা। এছাড়া, সারাদেশে আলোচনা সভা এবং বর্ণাঢ্য র‍্যালি অনুষ্ঠিত হবে। এর পাশাপাশি, গতকাল নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তারেক রহমান বলেন, বিএনপির মূল লক্ষ্য হচ্ছে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা, দেশের স্বাধীনতা রক্ষা এবং বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা। তিনি উল্লেখ করেন, ১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমান দলটিকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যাতে দেশ ও জনগণের জন্য মুক্তি ও সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত হয়। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করে গণতন্ত্রকে হত্যা করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছিল, যার বিরুদ্ধে দেশের স্বনির্ভরতা ও গণতন্ত্রের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান তার সাহসিকতা ও নেতৃত্ব দিয়েছেন। তারা বীরউত্তমের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিএনপি সবসময় তৎপর এবং নির্বাসিত গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য বহু নেতাকর্মী নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, ৮০’র দশকে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন এবং ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগ শাসনকালে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান পুনরুদ্ধার করেছেন। তিনি মন্তব্য করেন, বিএনপি বারবার গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে এসেছে এবং দেশের উন্নয়নেও অবদান রেখেছে। তিনি আরও বলেন, দেশের অর্থনীতি, নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, শিল্প, বাণিজ্য, অর্থনীতি ও বিদেশী রেমিট্যান্স সেক্টরে বিপ্লবী পরিবর্তন এনেছে দলটি, যা দেশকে একটি শক্ত ভিত্তিতে দাঁড় করিয়েছে। তিনি বলেন, দেশের জনগণের আস্থা অটুট রেখে বিএনপি নিবেদিতভাবে দেশের সেবা চালিয়ে যাবে। যারা দলের জন্য জীবন দিয়েছেন, তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন। তারেক রহমান আশা প্রকাশ করেন, প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলে আইনের শাসন, স্বাধীন মত প্রকাশ, সংবাদমাধ্যম ও বিচার বিভাগ সংরক্ষণ সম্ভব হবে এবং এই অধিকার সবার জন্য প্রসারিত হবে। তিনি শেষ উন্নত মানের নিরাপদ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, সুশাসন ও ন্যায্য বিচারের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। এছাড়া, তিনি গুম, গ্যাংস্টার-নিপীড়ন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, নারী ও শিশু নির্যাতন, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জোরদার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।