প্রতিটা ভোটারের জন্য ব্যয় সীমা নির্ধারণ, প্রার্থীর জন্য নতুন নির্দেশনা

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ২:৩১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৫

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার প্রত্যেকের জন্য সর্বোচ্চ ১০ টাকা ব্যয় করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি, নির্বাচনী বিধানসমূহে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার আনতে একটি একগুচ্ছ প্রস্তাব পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন, যা এখন বিধানসভার অনুমোদনের অপেক্ষায়। সূত্র অনুযায়ী, এসব প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে নির্বাচনী ব্যয় সংক্রান্ত পরিবর্তন এবং বাস্তবতা অনুযায়ী কার্যকরী নীতিমালা প্রবর্তন। আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সামনে এসব তথ্য তুলে ধরেন ইসি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। তিনি জানান, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচন আইন সংস্কারে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, ফেরারি আসামিদের ভোটে অযোগ্য ঘোষণা, যা নজিরবিহীন উদ্যোগ। যেসব ব্যক্তি কোনও আদালতে দুই বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত বা ফেরারি হন, তাঁরা এখন থেকে ভোটার হয়েছেন বলে গণ্য হবে না। এই পরিবর্তনের ফলে ভবিষ্যতে অপব্যবহার এড়ানো সম্ভব হবে বলে মনে করছেন ইসি কর্মকর্তারা। এছাড়া, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য প্রার্থীর জামানত গত বছরের ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব নিয়েও আলোচনা চলছে। তবে, অনলাইন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার বিধান এখনো এ আইনগত اصلاحে যুক্ত হয়নি। পরিবর্তনের অংশ হিসেবে, প্রতিটি আসনের ভোটার সংখ্যা অনুযায়ী নির্ধারিত ব্যয়ের হারও নির্ধারিত হয়েছে। এখন থেকে, ভোটার প্রতি ১০ টাকা করে ব্যয় করার সুযোগ থাকবে, যা বর্তমান আইনে ছিল ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত নির্বাচনী ব্যয়। এই নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, গাজীপুর-২ আসনে স্থানীয় ভোটার সংখ্যার ভিত্তিতে প্রার্থীরা সর্বোচ্চ প্রায় ৭৮ লাখ টাকা ব্যয়ের সুযোগ পাবেন। তদ্ব্যতীত, ঢাকার ১৯ নম্বর আসনে সর্বোচ্চ ভোটার থাকার কারণে প্রার্থীরা সাড়ে ৭ লাখের বেশি অর্থ ব্যয় করতে পারবেন। উল্লেখ্য, নির্বাচন পরিচালনাকারী রিটার্নিং অফিসার সোমবারের মধ্যে নির্বাচনে অনিয়ম হলে কোনও বা একাধিক কেন্দ্র বা আসনের নির্বাচন বাতিলের ক্ষমতা রাখেন। নির্বাচন আইন ও বিধি সংশোধনের এই উদ্যোগের ফলস্বরূপ, ভবিষ্যতের নির্বাচনে আরও স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থার সূচনা হবে বলে আশা করছে নির্বাচন কমিশন।