ইসরায়েলের ২১টি স্থাপনা ধ্বংসের দাবি ইরানের Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ২:৪৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১, ২০২৫ ইরানের বেসিজ সংগঠনের প্রধান বলেছেন, গত জুন মাসে, মাত্র ১২ দিনের যুদ্ধের মধ্যে, ইরান সফলভাবে দখলদার ইসরায়েলের ২১টি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত স্থাপনা ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে। এই কার্যক্রমের নির্ভুলতা এতই সুক্ষ্ম যে, ভ্রান্তির মাত্রা এক মিটারের কম। খবর দিয়েছে মেহের নিউজ। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলামরেজা সোলেইমানি রোববারে বলেছেন, শত্রুপক্ষ ওই ১২ দিন ধরে ইরানের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক যুদ্ধ চালিয়ে যায় এবং দেশটির বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীকে সক্রিয় করে তোলে, যাতে ভেতর আর বাইরে থেকে চাপ সৃষ্টি করতে পারে। তবে শত্রুপক্ষের এই পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে। তিনি আরো বলেছেন, “এই ১২ দিনে আমরা জায়নিস্ট শাসনের ২১টি গুরুত্বপূর্ণ এবং কৌশলগত স্থাপনা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে ফেলেছি। নতুন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের উপর ভরসা করে আমাদের লক্ষ্যবস্তু ব্যাংক সম্পন্ন করেছি, যার নির্ভুলতা এক মিটারের কম। বর্তমানে আমরা তাদের দুর্বল দিকগুলো সম্পূর্ণ জানি এবং অধিকৃত ভূখণ্ডের প্রতিটি বর্গমিটারে কি ঘটনা ঘটছে, সে বিষয়ে আমরা সম্পূর্ণ অবগত।” সংগঠনের এই নেতা সতর্ক করে বলেছেন, ভবিষ্যতে যদি আবার কোনো আনুষ্ঠানিক বা অঘোষিত আঘাত আসে, তবে ইরান শুধুমাত্র জায়নিস্টদের নয়, তাদের সমর্থকদেরও দায়ী করবে। গোলামরেজা সোলেইমানি বলেন, “যা ঘটছে তা দেখুন, সাম্প্রতিক যুদ্ধে কত দেশ ইসরায়েলকে রক্ষা করতে অংশ নিয়েছিল এবং কত হাজার টনের বোমা ও বিস্ফোরক ব্যবহার করে এই জায়নিস্ট শাসনকে এক আদ্র স্বাধীন জাতির ওপর বর্ষণ করা হয়েছে। তবে এখন পরিস্থিতি অন্যরকম হবে।” গত ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে অঘোষিত এবং উসকানিমূলক আগ্রাসন শুরু করে, যা ১২ দিনের যুদ্ধে রূপ নেয়। এই সংঘর্ষে کمপক্ষে ১,০৬৪ জন নিহত হন, যেখানে ছিলেন সামরিক কমান্ডার, পারমাণবিক বিজ্ঞানী এবং সাধারণ বেসামরিক নাগরিক। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রও সরাসরি এই লড়াইটিতে অংশ নেয় এবং ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা চালায়, যা আন্তর্জাতিক আইনের মৌল ভিত্তি লঙ্ঘন। প্রতিবাদে ইরানি সশস্ত্র বাহিনী অধিকৃত অঞ্চলগুলিতে কৌশলগত হামলা চালায়, পাশাপাশি কাতারের আল-উদেইদ ঘাঁটি (যা পশ্চিম এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম সামরিক কেন্দ্র) লক্ষ্য করে আঘাত হানে। তারপর, ২৪ জুন ইরান তার সফল প্রতিশোধমূলক অভিযান শুরু করে, যা ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ের উপর চাপ সৃষ্টি করে এবং এই আগ্রাসন বন্ধ করতে বাধ্য করে। SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়: