সুন্দরবন আজ থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে জেলেদের এবং পর্যটকদের জন্য

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ২:৩৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১, ২০২৫

টানা তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে আজ পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে সুন্দরবনের দ্বার সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্তের ফলে জেলেরা, বনজীবী, দেশি-বিদেশি পর্যটক ও পর্যটনকারীরা এখন থেকে এই প্রাকৃতিক সুন্দরবনে ঢুকতে পারবেন। বন বিভাগের অনুমতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট সবাই আজ থেকে সুন্দরবন প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছেন, যা দীর্ঘদিন পর আবার প্রাণবন্ত হয়ে উঠছে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল।

বিশাল এই বনাঞ্চলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসা পর্যটকদের পাশাপাশি জেলেদেরও বেশ স্বস্তি ফিরেছে। দীর্ঘ সময়ের নিষেধাজ্ঞার কারণে জেলেরা ও বনজীবীরা নানা সমস্যায় পড়েছিল এবং অনেকেই বিকল্প কর্মসংস্থান খুঁজতে শহরে চলে গিয়েছিলেন। তবে এখন তাদের জন্য অপেক্ষার অবসান হয়েছে। শরণখোলা উপজেলার জেলে পল্লীতে ফিরে এসেছে তাদের চিরচেনা রূপ। জেলেরা নৌকা ও ট্রলার মেরামতের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন, প্রথাগত ঠুকঠাক শব্দে গুঞ্জরিতে মুখর হয়ে উঠছে পর্যটন এলাকা। প্রথম দিন থেকেই তারা সুন্দরবনে প্রবেশের জন্য তৎপর হয়ে উঠেছেন।

অপর দিকে, পর্যটন ব্যবসায়ীরাও প্রস্তুত করেছেন তাদের ট্যুরিস্ট বোটগুলো। নিরঞ্জন ও রঙে ঝলমলে এই নৌকাগুলো এখন সুন্দরবনের সৌন্দর্য দেখানোর জন্য অপেক্ষা করছে। দীর্ঘ বিরতির পর পর্যটকদের আগমন পুনরায় সুন্দরবনের প্রাণচাঞ্চল্য ফিরিয়ে আনবে বলে প্রত্যাশা করছেন তারা।

বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মৎস্য ও বন্যপ্রাণীর প্রজনন মৌসুমের কারণে প্রতিবছরের মতো এ বছরও ১জুন থেকে ৩১আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনে জনসাধারণের প্রবেশ নিষেধ ছিল। তবে নিষেধাজ্ঞা শেষের পরে এখন আবার জেলেরা ও পর্যটকরা এই বনাঞ্চলে ফিরে আসছেন।

উল্লেখ্য, টানা নিষেধাজ্ঞার কারণে অনেক জেলেই বিকল্প কর্মসংস্থানের অভাবে অসুবিধায় পড়েছেন। খুড়িয়াখালী গ্রামের জেলেরা বলেন, তিন মাসের নিষেধাজ্ঞার কারণে তাদের জীবনযাত্রা অনেকটা অস্থির হয়ে পড়ে। তারা দাবি করেন, যদি নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা কমানো হয়—অর্থাৎ দুই মাসের মধ্যে আনা হয়—তাহলে বনজীবীর জীবনমান উন্নত হবে।

শরণখোলা রেঞ্জের স্টেশন কর্মকর্তা মো. খলিলুর রহমান বলেন, এখন থেকে ১ সেপ্টেম্বর থেকে সুন্দরবনে প্রবেশের অনুমতি রয়েছে। এরই মধ্যে, ২৭ আগস্ট বন বিভাগের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীদের নিয়ে একটি সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ყველა জরুরি নির্দেশনা ও নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এ উদ্যোগের মাধ্যমে সুন্দরবনের জন্য জীবিকা উপার্জন ও তার সংরক্ষণে অঙ্গীকারের বাস্তবায়ন আশাব্যঞ্জক।