আগস্টে গণপিটুনিতে হত্যার সংখ্যা Juli এর তুলনায় বেড়েছে Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ২:৩১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১, ২০২৫ দেশে গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনা ভয়াবহভাবে বাড়ছে। আগস্ট মাসে অন্তত ৩৮টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যা গত জুলাই মাসের তুলনায় ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। জুলাই মাসে এই ধরনের ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৬ জন, আর আগস্টে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৩ জনে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি ৪৩ জন আহত হয়েছেন। মানবাধিকার সংগঠন মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) আগস্ট মাসের মানবাধিকার প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল রোববার সংগঠনের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এমএসএফ প্রতি মাসেই দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে থাকে, যেখানে তারা বিভিন্ন পত্রিকা ও নিজস্ব অনুসন্ধান থেকে রিপোর্ট প্রস্তুত করে। গণপিটুনির ঘটনায় মূলত চুরির অভিযোগে ১০ জন, সন্দেহজনক চুরির জন্য ৪ জন, ডাকাতির ঘটনায় ৩ জন, পূর্বশত্রুতায় ২ জন নারীসহ ৩ জন, মাদক মামলার জন্য ১ জন, ছিনতাইয়ের অভিযোগে ২ জন, এবং চাঁদাবাজির অভিযোগে ১ জনকে হত্যা করা হয়। সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতনের বিষয়েও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। আগস্ট মাসে দেশের বিভিন্ন স্থানে ৩৩টি ঘটনায় ৯৬ সাংবাদিকের ওপর হামলা, আইনি হয়রানি, হুমকি, হত্যা ও অন্যধরনের নির্যাতন ঘটেছে। এর মধ্যে নিহত হয়েছেন একজন, আহত হয়েছেন ২৩ জন, ১৬ জন হুমকির শিকার হয়েছেন এবং ২০ জনের চাকরি হারানো হয়েছে। এসব নির্যাতনের ঘটনায় বেশ কিছু মামলার hình রয়েছে, যেখানে হত্যা, চাঁদাবাজি ও মানহানির অভিযোগ উঠেছে। গত জুলাই মাসে এর সংখ্যা ছিল ১৯টি নির্যাতনের ঘটনা, যেখানে আক্রান্ত হন ৩০ জন সাংবাদিক। এমএসএফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগস্ট মাসে বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে, যেখানে বিএনপি, পুলিশ, শিক্ষক, সন্ত্রাসী ও বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও রয়েছে। এসময় গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় সাংবাদিক মো. আসাদুজ্জামান তুহিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। প্রতিবেদন আরও জানায়, সাংবাদিকরা আইনি ও সামাজিকভাবে প্রতিকার পেতে চরমভাবে অসুবিধার মধ্যে রয়েছেন। পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কোন ব্যবস্থা না নেওয়া ও সাংগঠনিক সহায়তার অভাব সত্যিই উদ্বেগজনক। রাজনৈতিক সহিংসতাও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। আগস্টে ৪৯টি সহিংসতার ঘটনায় ৫৪৯ জন শিকার হন, যেখানে দুজন নিহত ও ৫৪৭ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে অনেকের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনাও রয়েছে। এই সহিংসতার জ্বালায় পার্টি অফিস, বসতবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বেশিরভাগই বিএনপি ও আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলীয় সংঘর্ষের ফল। অপরদিকে, কারা হেফাজতেও মৃত্যুর সংখ্যা কমেনি। আগস্টে ১০ জন কারা হেফাজতেই মারা গেছেন, যাদের মধ্যে ৩ জন হাজতি ও ৭ জন কয়েদি। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় ও জেলার কারাগারেও এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সংখ্যালঘু মুসলিম ও হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর সহিংসতার ঘটনা চলমান। এই মাসে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, ধর্ষণ, জমি দখল এবং গুজবের মতো ঘটনায় কমপক্ষে ১০টি ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘুদের বসতবাড়ি ধ্বংসের ঠেকাতে সরকার দ্রুত ও নিরপেক্ষ পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। অন্যদিকে, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতাও ভয়াবহ। আগস্ট মাসে ৩৫৪টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে, যা সেপ্টেম্বরের চেয়ে কম। ধর্ষণের ঘটনা রয়েছে ৪৭টি, যার মধ্যে প্রতিবন্ধী ও শিশুদেরও রয়েছে। সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ১৯টি, ধর্ষণ ও হত্যার সম্মিলিত ঘটনা ৪টি। এছাড়াও ধর্ষণের চেষ্টায় ২৪টি, যৌন হয়রানিতে ২১টি এবং শারীরিক নির্যাতনে ৯৪টি ঘটনা ঘটেছে। SHARES জাতীয় বিষয়: