চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে বাংলাদেশ বিদেশি ঋণের পরিশোধ করেছে মোট ৪৪৬.৬৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) কর্তৃক প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এই সময় দেশের উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে আসা ঋণ এবং সুদ পরিশোধের পাশাপাশি সরকার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ঋণ পরিশোধের জন্য এই বড় অঙ্কের অর্থ ব্যয় করেছে।

পূর্ববর্তী অর্থবছর ২০২৪-২৫ এর জুলাই মাসে এই পরিমাণ ছিল ৩৮৫.৬৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা এবার বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে, আসল অর্থ বাবদ বাংলাদেশ ওই মাসে পরিশোধ করেছে ৩২৭.৭২ মিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য। অন্যদিকে, সুদ বাবদ এই মাসে পরিশোধ করা হয়েছে ১১৮.৯৬ মিলিয়ন ডলার, যা সামান্য কমেছে।

এছাড়া, এই সময়ে বাংলাদেশ উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে পেয়েছে ২০২.৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, আর নতুন করে প্রতিশ্রুতিমতো ঋণের পরিমাণ এসেছে ৮৩.৪৬ মিলিয়ন ডলার। ফলে, দেশের অর্থনীতিতে এই ঋণ পরিস্থিতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও গতিশীল।

অর্থাৎ, গত অর্থবছরে বাংলাদেশ মোট ৪.০৮৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ পরিশোধ করেছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষে দেশের বৈদেশিক ঋণের মোট পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৪.৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ৮ শতাংশ বৃদ্ধি।

ইআরডির প্রতিবেদন অনুযায়ী, নতুন অর্থবছরে বাংলাদেশের ঋণ গ্রহণের চুক্তি হয়েছে ৮.৩২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেখানে আগের বছরে তা ছিল ১০.৭৩৯ বিলিয়ন। একইসঙ্গে, ঋণ বিতরণও কিছুটা কমে এসে এখন দাঁড়িয়েছে ৮.৫৬৮ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের চেয়ে কম।

জুলাই মাসে সবচেয়ে বেশি ঋণ বিতরণ করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ৭৭.৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এরপর রয়েছে বিশ্বব্যাংক থেকে ৫৯.০৭ মিলিয়ন, জাপান ১৭.২৪ মিলিয়ন, ভারত ১৩.৬২ মিলিয়ন এবং অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে মোট ৩৫.৩৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিতরণ করা হয়েছে। এই অর্থ সংগ্রহ ও বিতরণ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।