নওগাঁয় পোরশায় ১০ বিঘা আমন ধানের আগাছা নাশক কীটনাশক স্প্রে ও ক্ষতিগ্রস্ত চাষীরা

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ২:৩৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৭, ২০২৫

নওগাঁর পোরশা উপজেলার খরপা গ্রামে আমন ধানের জমিতে অজ্ঞাত দল দ্বারা আগাছা নাশক হিসেবে কীটনাশক স্প্রে করে ধানের ব্যাপক ক্ষতি করার অভিযোগ উঠেছে। রোববার ২৪ আগস্ট রাতের অন্ধকারে স্বর্ণা-৫ জাতের ধানে এ ঘটনা ঘটে, যার ফলে সাত কৃষকের প্রায় দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে। ভুক্তভোগী কৃষক আবু সাঈদ অভিযোগ করে বলেন, বেশ কয় দিন ধরে তারা ধান রোপন করে অপেক্ষা করছিল, কিন্তু তার আগেই রাতে অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারীরা তাদের জমিতে কীটনাশক স্প্রে করে ধান পুড়িয়ে দেয়। জমির ধানের গাছ শুকিয়ে গেছে এবং চাষীরা অত্যন্ত হতাশ ও ক্ষতিগ্রস্ত।

এ ঘটনায় স্থানীয় কিছু ব্যক্তি, যেমন আব্দুল মান্নান চৌধুরী, আব্দুল লতিফ ও ইসমাঈল হোসেনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। কৃষক সেকেন্দার বলেন, সকালে জমির ধান দেখতে গেলে দেখা যায় একদিক সবুজ আবার অন্যদিকে পাতা শুকিয়ে গেছে। ধানের অবস্থা এতটাই খারাপ যে সমস্ত এলাকা ধান মরে গেছে। অন্য এক কৃষক কালাম জানান, এক বিঘা জমিতে আবাদে তারা প্রায় ৭-৮ হাজার টাকা খরচ করেছেন। ধান ঘরে তোলার সময় একবারে আর সম্ভব হবে না, কারণ ধান এখন সবই শুকিয়ে গেছে।

অভিযোগকারীর আরো বল कि, তারা গত তিন বছর ধরে ওই জমিতে চাষাবাদ করে আসছেন। রাতের আঁধারে অজ্ঞাত কিছু দুষ্কৃতকারী এবং কয়েকজন শ্রমিকের দ্বারা স্প্রে করে ধান পুড়িয়ে দেয়। এতে তাদের ক্ষতি হয়ে প্রায় ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। এ বিষয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হচ্ছে।

অন্যদিকে, অভিযোগকারীদের অভিযোগ অস্বীকার করে জমির মালিক আব্দুল মান্নান বলেছেন যে, ঘটনা সম্পূর্ণ ভুল। তিনি বলেন, জমি তার চাচাতো ভাইদের, যারা নওগাঁ শহরে বসবাস করে এবং জমির দেখাশোনা করে। যারা আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে, তারা নিজেদের দখল করা জমিতে ধান রোপন করে দৃষ্টিভঙ্গি সৃষ্টি করতে চাইছে। এছাড়া, জমি দখলের জন্য কিছু মানুষ তাদের উপর হামলাও চালিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

উপজেলার মর্শিদপুর ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার সেলিম রেজা জানান, জমিতে আগাছা নাশক হিসেবে কীটনাশক স্প্রে করা হয়েছে, যার কারণে প্রায় ৭০ শতাংশ ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জমিতে স্প্রে করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যেন পানি দিয়ে ধানে প্রভাব কমানো যায়। ধারণা করা হচ্ছে, এ ঘটনায় অনুমানিক ফলন ২০-২২ মন থেকে কমে ৫-৭ মন দাঁড়াবে।

পোরশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিন্টু রহমান জানান, এ বিষয়ে একটি মামলা হয়েছে। তদন্তের জন্য পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।