হিলি বন্দরে রপ্তানি ও আয়ের বৃদ্ধি Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ২:৩৫ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৬, ২০২৫ দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর থেকে ভারতের জন্য দেশীয় পণ্যর রপ্তানি গত কয়েক মাসে উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে। এর ফলে দেশের রাজস্ব আয়ও বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি অর্থবছরের ৩০ জুন থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত ভারতে বিভিন্ন ধরণের পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে। শনিবার হিলি স্থলবন্দর কাস্টমসের সহকারী কমিশনার এএসএম আকরম সম্রাট জানিয়েছেন, জুলাই থেকে আগস্ট পর্যন্ত সময়ে এই বন্দর দিয়ে দুই হাজার ৯১ টন পণ্য ভারতীয় বাজারে পাঠানো হয়েছে। এই রপ্তানি থেকে বাংলাদেশ সরকার aproximadamente ১৭ লাখ ১০ হাজার ডলার বা বাংলায় প্রায় ২০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করেছে। বাসসের খবর অনুযায়ী, আগে এই স্থলবন্দর দিয়ে তেমন কোনও পণ্য রপ্তানি সম্ভব হয়নি। তবে বর্তমানে দেশীয় পণ্যের চাহিদা বাড়ার কারণে ভারতে পণ্য রপ্তানি পুনরুজ্জীবিত হয়েছে। যদিও হিলি বন্দরে পর্যাপ্ত আমদানির ব্যবস্থা থাকলেও রপ্তানির পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে, যা মূলত আমদানির চেয়ে রপ্তানির পরিমাণ প্রায় ৭০ শতাংশ কম। ভারতের ব্যবসায়ীরা হিলি বন্দরে থেকে রাইস ব্রান (তুষের তেল), টোস্ট বিস্কুট, ম্যাঙ্গো জুস, ঝুট কাপড়, নুডুলসসহ বিভিন্ন ধরনের বেকারি পণ্য নিয়ে যাচ্ছেন। হিলি স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফেরদৌস রহমান বলেছেন, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই বন্দরে রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বৈদেশিক মুদ্রার আয়ও বাড়ছে। সরকারের রাজস্ব তহবিলে এই বন্দর থেকে প্রাপ্ত আয় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছে, পাশাপাশি এখানকার শ্রমিকরা জীবিকা নির্বাহ করছেন। তবে বন্দরের ব্যবসায়ীরা মনে করেন, ভারতের অভ্যন্তরীণ কিছু সমস্যা সমাধানে সক্ষম হলে রপ্তানির পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাবে। কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দিন জানান, দীর্ঘ সময় ধরে এই বন্দর দিয়ে রপ্তানি বন্ধ থাকলেও এখন বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি আবার শুরু হয়েছে। কাস্টমস বিভাগ দেশের পণ্য রপ্তানিতে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করছে। SHARES অর্থনীতি বিষয়: