ইলিশ উৎপাদনের অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ২:৩০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৬, ২০২৫

ইলিশের উৎপাদন বর্তমানে কমলেও এর মন্দা কাটাতে বিভিন্ন ধরণের কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার। তিনি স্পষ্ট করেছেন, প্রাকৃতিক কারণ যেমন নদীর নাব্যতা হ্রাস, মেঘনা নদীর দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি এবং আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে ইলিশ মাছের ডিম পাড়ার ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। এর পাশাপাশি প্রাকৃতিক পরিবেশের অবনতি এবং অবৈধ দখলদারিত্বের ফলে নদী ভরাটের সমস্যা বেড়েই চলেছে। এসব সমস্যা সমাধানে আমরা কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছি, যাতে করে ইলিশের উৎপাদন পুনরুদ্ধার হয় এবং তা আগামী দিনগুলোতে নিশ্চিত হয়।

বরিশাল ক্লাবে অনুষ্ঠিত জাতীয় কর্মশালা ‘উপকূলীয় এলাকাকার মহিষের চারণভূমি ও উন্নয়নের সমস্যা ও সম্ভাবনা – ২০২৫’ এ প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

ফরিদা আক্তার বলেন, ইলিশ একটি শোভাযাত্রা প্রবণ মাছ যা সমুদ্র থেকে নদীতে আসে এবং আবার ফিরে যায়। তবে বর্তমানে এই স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে, যার মূল কারণ হলো ঝাটকা নিধন ও অবৈধ জালের ব্যবহার। কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী অভিযান চালালেও এই ব্যাহত পরিস্থিতি পুরোপুরি কাটানো যায়নি। তবে আমরা বদ্ধপরিকর, এ সমস্যা মোকাবিলার জন্য কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। আমাদের আশা, খুব শীঘ্রই ইলিশের দাম স্বাভাবিক হবে এবং বাজারে সরবরাহ বাড়বে।

তিনি আরো জানান, ঢাকায় শিগগির একটি বিশেষ মিটিং অনুষ্ঠিত হবে যেখানে নদী থেকে মাছ ধরা ও মাছের বাজার সিন্ডিকেট বন্ধ করার পরিকল্পনা নেওয়া হবে। এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের জন্য মূল্য কমে আসবে এবং বাজারের অব্যবস্থাপনা দূর হবে।

ফরিদা আক্তার emphasizes that the coastal areas are seeing a decline in buffalo grazing lands due to rapid urbanization and institutional constructions, including universities. তিনি জানান, গরু, ছাগল ও মহিষ পালন দেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য অপরিহার্য। তবে পরিকল্পনার অভাবে এই গবাদিপশুর চারণভূমি সংকোচিত হচ্ছে, যা দেশের খাদ্য সুরক্ষায় ক্ষতিকর। সঠিক নীতি ও ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে এই সম্পদগুলো সংরক্ষণ ও আধুনিকায়ন করলে দেশের কৃষি ও পশুসম্পদ উন্নয়নে তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, পিকেএসএফের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ফজলে রাব্বি সাদেক আহমেদ, বরিশাল বিভাগের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ও জিজেইউএস এর নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন মহিন। সভাপতিত্ব করেন প্রফেসর ড. ওমর ফারুক।

বক্তারা বলেন, নদী ও সমুদ্রের টেকসই ব্যবস্থাপনা যদি কার্যকর হয়, তাহলে ইলিশ মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব। মাছ চাষ, সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য জলবায়ু পরিবর্তন, চারণভূমির অভাব এবং বাজারের দুর্বলতা মোকাবিলা করতে হলে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সম্মিলিত努力 প্রয়োজন।

তাদের মতে, উপকূলীয় অঞ্চলে মহিষ পালন একটি সম্ভাবনাময় খাত হলেও জলবায়ু পরিবর্তন, চারণভূমির সংকট ও বাজার ব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে এই খাতের উন্নয়ন বিঘ্নিত হচ্ছে। আধুনিক গবেষণা, প্রশিক্ষণ ও নীতিমালা অনুযায়ী উন্নয়ন করলে, মহিষ পালনকে লাভজনক ও টেকসই খাতে রূপান্তর সম্ভব।