মMirজা আব্বাসের দ্বারা নতুন ‘মাইনাস-টু ফর্মুলা’ দেশকে বিরাজনীতিকরণের পরিকল্পনা সক্রিয় Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ২:৩২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৫, ২০২৫ বিএনপি স্থায়ী কমিশনের সদস্য মির্জা আব্বাস অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগের পলায়নের পর বিএনপিকেও রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দিতে চায় দেশি-বিদেশি মহলের প্ররোচনায় নতুন একটি ‘মাইনাস-টু ফর্মুলা’ সক্রিয় হয়েছে। তিনি এক সাক্ষাৎকারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপ, খাগড়াছড়ির সাজেক ও নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনালকে কেন্দ্র করে কিছু অশুভ শক্তি দেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আব্বাস দুঃখের সঙ্গে বলেন, কিছু রাজনৈতিক দল নানা অজুহাতে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ভিন্ন পথে প্রবাহিত করার জন্য এসব চক্রান্তের সাথে জড়িয়ে পড়েছে। সরকারি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুস ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন না হলে দেশের জন্য বড় ক্ষতির আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এখন দেশের রাজনীতিতে নতুন ‘মাইনাস-টু ফর্মুলা’ চালু হয়েছে, যা ১/১১ সময়কার আদর্শের মতোই। সেটি আগেরবার সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার মাধ্যমে চালু হয়েছিল, আর এবার দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা ভিন্ন আকারে একই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে উদ্যোগী। আব্বাস অভিযোগ করেন, একটি অজ্ঞাত গোষ্ঠী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা চালিয়ে বিএনপিকে ‘অবিশ্বাস্য’ বা ‘অন্যায়ত’ রাজনৈতিক শক্তি বলে গুজব ছড়াচ্ছে। তিনি বলেন, এখনো কিছু আওয়ামীপন্থি কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক গোষ্ঠী বিএনপিকে দুর্বল করার জন্য সক্রিয়। তারা মনে করছে, দেশের বাইরে থাকা দলের শীর্ষ নেতারা সরুলে গেলেই শাসন ক্ষমতা তাদের হাতে চলে আসবে। আব্বাস বলেন, যারা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল রাখতে চায়, তাদেরই অংশ হিসেবে নতুন করে মাইনাস-টু ফর্মুলা বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে; এটি ১/১১-এর মতোই। এখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতার বাইরে থাকায় ভিন্নরূপে ‘মাইনাস-বিএনপি ফর্মুলা’ চালানো হচ্ছে। এর পেছনে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারী ও শক্তির হাত রয়েছে বলে তিনি মনে করেন। আব্বাসের মতে, এই ষড়যন্ত্রের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বিএনপিকে দুর্বল বা সরিয়ে দিয়ে দেশের রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নেওয়া। তিনি অভিযোগ করেন, অনেক আওয়ামী সমর্থক আমলারা আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছেন, কারণ তারা মনে করছে, বিএনপিকে রাজনীতির বাইরে রেখে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করা সহজ হবে। এতে মন্তব্য করে তিনি বলেন, প্রতিশোধপ্রিয় কিছু রাজনৈতিক দলও এই পথে হাঁটছে, যারা আগে ক্ষমতাসীনদের অনুসরণ করে চলেছিল। দলের এই নেতা বলেন, কিছু ইসলামী দলসহ অনেকে রাজনৈতিক দল নানা ইস্যু তুলে ধরে ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের পথ রুদ্ধ করতে চাইছে। তিনি অভিযোগ করেন, একটি দল বলছে, তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত নির্বাচন হবে না—এটি অন্তরঙ্গ মনোভাবের আচরণ, যেন তারা ফ্যাসিবাদী শক্তির মতো। এই পরিস্থিতিতে আব্বাস গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, আমরা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করেছি, অন্যের হাতে দেশের মাটি তুলে দেওয়ার জন্য নয়। তিনি বলে থাকেন, নতুন এই ‘মাইনাস-টু ফর্মুলা’ বাস্তবায়নের চেষ্টা এবং সেন্ট মার্টিন, সাজেক ও নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনাল নিয়ে বিদেশিদের সঙ্গে আলোচনা সবই একই সূত্রে গাঁথা, ভিন্ন কোনো বিষয় নয়। তিনি বলেন, আসন্ন নির্বাচন অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও চ্যালেঞ্জিং হবে, কারণ বিএনপির জনপ্রিয়তা তাকে ভয় পাচ্ছে কিছু মহলের মনোভাব। তবে তিনি বিশ্বাস করেন, জনগণ বিএনপিকে ভালোবাসে এবং মিথ্যা প্রচারণা নস্যাৎ করবে তাদের জনপ্রিয়তা ক্ষুণ্ণ করতে পারবে না। আব্বাস বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রশাসন থেকে আওয়ামীলীগের অনুরূপ ব্যক্তিদের সরিয়ে দিতে হবে, অন্যথায় নির্বাচন করতে সমস্যা হবে। তিনি জানান, বিএনপি এখনও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং ফেব্রুয়ারিতে ভোটের আশা করছে। প্রশ্ন উঠলে, তিনি বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে মনে করেন, কিছু দল নির্বাচন বানচালের জন্য চেষ্টা করছে, যা সফল হলে দেশের জন্য বিপর্যয় ঘটে। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের ফেব্রুয়ারি ভোটের ঘোষণা কতটা বাস্তব, তা তারা বিশ্বাস করে। তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নির্বাচনে যাবেন কি না, তার সিদ্ধান্ত তার নিজের শারীরিক অবস্থা ও ইচ্ছে ওপর নির্ভর করে। এখনো এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তিনি যোগ করেন, খালেদা জিয়া নিজেও এ বিষয়ে কিছু বলেননি। এরপর, তিনি বলেন, যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে, তখন খালেদা জিয়ার কোনো ভূমিকা থাকবেন কি না, সময় এসে বলবে। তিনি আরও বলেন, ইসলামী দলগুলোর জোট গঠনের পরিকল্পনা নিয়ে বিএনপি চিন্তিত নয় এবং বিশ্বাস করেন, দেশের জনগণ ধর্মপ্রাণ হলেও তারা মূলত উদারপন্থি মুসলিম ও গণতান্ত্রিক মধ্যপন্থি দলকেই পছন্দ করে। SHARES রাজনীতি বিষয়: