অমৎস্যজীবীদের জলাশয় ইজারা দেওয়া চলবে না: মৎস্য উপদেষ্টা Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ২:৩০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৫, ২০২৫ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, প্রাকৃতিক মাছের পরিমাণ কমে গেলে মৎস্যজীবীরা পর্যাপ্ত মাছ পেতে পারবেন না। বর্তমানে যেখানে যে পরিমাণ মাছ হওয়ার কথা, তা পুরোপুরি পাওয়া যাচ্ছে না, ফলে প্রকৃতমৎস্যজীবীরা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এই পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, অমৎস্যজীবীদের জন্য জলাশয় ইজারা প্রদান বন্ধ করা হবে। ইতোমধ্যে ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে বাওড় বিষয়ক ইজারা সমস্যার সমাধানে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আজ বিকেলে রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৫-এর মূল্যায়ন, সমাপনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে মৎস্য অধিদপ্তর নানা কার্যক্রমের আয়োজন করে। উপদেষ্টা আরও বলেন, মৎস্য সপ্তাহ শেষ হলেও অর্থাৎ আজ থেকেই শুরু হলো সারা বছরের জন্য মৎস্য সপ্তাহ। নতুন উদ্যোগে কাজ শুরু করতে হবে এবং এই উৎসাহ-উদ্দীপনা যাতে পুরো বছর জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে, সেই লক্ষ্য রাখতে হবে। তিনি এ বছর মৎস্য পদক প্রাপ্তির বিষয়েও সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এর জন্য কোনো তদবির কিংবা কারচাপ হয়নি। সকল ধাপ পেরিয়ে সত্যি যোগ্য ব্যক্তিদেরই পদক দেওয়া হয়েছে। বিএফআরআইয়ের তরুণ বিজ্ঞানীদের প্রশংসা করে উপদেষ্টা বলছিলেন, অভয়াশ্রমের জন্য তাঁদের গবেষণা আমাদের অনুপ্রেরণা যুগাচ্ছে। গবেষণাকে কেবল লেখার ঘরোয়া কাজ হিসেবে না নিয়ে মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন করতে হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। আরও বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় শুধু খাদ্য উৎপাদনের কেন্দ্র নয়, বরং এটি একটি বৌদ্ধিক বা আইডিয়াল স্পেস। দেশের মানুষের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে ইলিশ সরবরাহ করাই আমাদের লক্ষ্য, আর এতে আমরা সফল হবো বলে তিনি দৃঢ় আস্থার সঙ্গে উল্লেখ করেন। অনুষ্ঠানে মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফ বলেন, ইলিশের উৎপাদন মূলত প্রকৃতি নির্ভর। অনেক জায়গায় বাঁধার কারণে ইলিশ সাগর থেকে নদীতে আসতে পারে না, ফলে ইলিশের আহরণ কমে যাচ্ছে এবং দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি আরও জানান, চিংড়ি চাষের উন্নতির জন্য নির্দিষ্ট চৌকস জোন তৈরি করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠান में বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের। অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ান, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্রা এবং মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের পরিচালক মোহাম্মদ বদরুল হক। অনুষ্ঠানে মৎস্য অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মৎস্যজীবী ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। SHARES জাতীয় বিষয়: