তারেক রহমানের আহ্বান: প্রচলিত রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন অত্যাবশ্যক

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ২:৩২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৪, ২০২৫

প্রতিরোধ, প্রতিহিংসা ও কথামালার নেতাকাঠামোর পরিবর্তে বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা গ্রহণ ও তার সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের রাজনীতির ধারাকে উন্নত ও সুসংগঠিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত বিএনপি স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনাসভার ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। তাঁর বক্তৃতায় তিনি বলেন, বর্তমান প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ ও সুস্থ ভবিষ্যৎ নির্মাণে রাজনীতি হতে হবে রূপান্তরিত এবং বন্ধুত্বপূর্ণ, যেখানে প্রতিহিংসা ও কথামালার রাজনীতি এড়ানো হবে।

তারেক রহমান বলেন, ‘প্রত্যেক মা-বাবা চান, তাদের সন্তানরা নিরাপদ ও সুন্দর ভবিষ্যৎ নিয়ে এগিয়ে যাবে। সেই লক্ষ্যেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল পরিকল্পনা ও কর্মসূচি গ্রহণ করছে। কারণ, আমি মনে করি, বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ জীবন নিশ্চিত করতে হলে আমাদের প্রচলিত রাজনীতির ধারা থেকে বেরোতেই হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিহিংসা, প্রতিরোধ ও কথামালার রাজনীতি পরিবর্তন করে বাস্তবভিত্তিক ও কর্মমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ এবং সেটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমাদের রাজনীতির বাস্তব পরিবর্তন ঘটাতে হবে।’

এছাড়া, বর্তমান বিশ্ব যে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) যুগে প্রবেশ করেছে, সেখানে এই প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদেরকে আরও এগিয়ে আসতে হবে। বিএনপি ইতোমধ্যে বিভিন্ন সেক্টরকে চিন্হিত করে নির্দিষ্ট ও সূক্ষ্ম কর্মপরিকল্পনা তৈরি করছে।

তারেক রহমান বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় শেষ করার পর অথবা যদি তারা পড়া ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়, তারা যেন বেকারতা বা কাজের অভাবে সমস্যায় না পড়ে, সে জন্যই আমরা শিক্ষা ব্যবস্থায় নতুন পরিকল্পনা আনছি। এর মধ্যে বিষয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হবে ব্যাবহারিক ও কারিগরি শিক্ষা, যাতে তরুণ প্রজন্মের কর্মসংস্থান বাড়ে।’

তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে সম্ভাব্য জাতীয় নির্বাচন ঘোষণা করেছে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ দেড় দশকের বেশি সময় ধরে তাদের ভাষা ও এজেন্ডা বাস্তবায়নের সুযোগ পাবেন। তবে নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন নিয়ে কিছু নির্বাচিত দল ও গোষ্ঠীর বিভ্রান্তি ও সংশয় লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা গণতন্ত্রের জন্য চ্যালেঞ্জ।’

সবশেষে, দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘যদি দূরত্ব বাড়ে, তবে ফ্যাসিবাদী এবং অগণতন্ত্রের চক্র পুনরায় শক্তিশালী হয়ে উঠবে, যা দেশের রাজনীতির জন্য বিপজ্জনক। আলোচনা ও সংলাপের মাধ্যমে শোঁক বন্ধ করতে হবে, যাতে গণতান্ত্রিক ধারাটি সুসংহত থাকে।’