ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষকের নতুন বিশ্বরেকর্ড

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ২:৩৮ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৩, ২০২৫

বিশ্ব ফুটবল ইতিহাসে এক নতুন মাইলফলক স্থাপন করেছেন ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক ফ্যাবিও ডেইভসন লোপেজ। তিনি এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলার রেকর্ডের অধিকারী, যা আগে ধারণা করা হয়েছিল ইংল্যান্ডের সাবেক ফুটবলার পিটার শিলটনের দখলে। শিলটনের রেকর্ডের লড়াইয়ে এক প্রকার নিশ্চিত ছিল, তিনি মোট ১ হাজার ৩৮৭ বা ১ হাজার ৩৯০ ম্যাচ খেলেছেন। তবে শেষ পর্যন্ত, ফ্যাবিও এই শিরোপা নিজের করে নেন, নতুন রেকর্ড গড়ার মাধ্যমে। মঙ্গলবার রাতে তিনি খেললেন ১ হাজার ৩৯১তম ম্যাচ, যা তার বিশ্বরেকর্ডের ঘোষণা দেয়। ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্লুমিনেন্স এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। ৪৪ বছর বয়সি এই গোলরক্ষক গত মঙ্গলবার ক্লাবের হয়ে কোপা সাউদামারিকার ম্যাচে অংশ নেন, যেখানে তারা আমেরিকা ডি কালির বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে জিতেছে। তার পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু হয় ১৯৯৭ সালে, এবং পুরো সময়টাই তিনি ব্রাজিলের বিভিন্ন ক্লাবের জন্য খেলেছেন। এর মধ্যে তিনি খেলেছেন উনিয়াও বান্দেইরান্তে, অ্যাতলেটিকো পারানায়েস, ভাসকো দ্য গামা ও ক্রুজেইরোর জার্সিতে। ক্রুজেইরোর হয়ে তিনি খেলেছেন ২০০৫ থেকে ২০২২ পর্যন্ত মোট ৯৭৬ ম্যাচ, যা তার সর্বোচ্চ। ফ্লুমিনেন্সের হয়ে মঙ্গলবারের ম্যাচ তার ২৩৫তম। এর আগে ভাসকো দ্য গামার সাথে তিনি খেলেছেন প্রায় দেড়শ ম্যাচ। গিনেসবুকের তথ্য অনুযায়ী, ইংলিশ ফুটবলার শিলটনের খেলেছেন ১ হাজার ৩৯০ ম্যাচ। তবে তিনি নিজে গণমাধ্যমে জানিয়েছিলেন তিনি ১ হাজার ৩৮৭ ম্যাচ খেলেছেন। এর ফলে বিভিন্ন উৎসের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়, এমনকি ব্রাজিলের জাতীয় দলে খেলেছেন কি না, তা-ও স্পষ্ট ছিল না। শিলটনের ক্যারিয়ারে মূলত ব্রাজিলের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের জন্য খেলেছেন, যেখানে তিনি অংশ নেন ১৯৯৭ সালে। অন্যদিকে, ইংল্যান্ডের ক্লাব ক্যারিয়ারে তিনি খেলেছেন মোট ১ হাজার ২৪৯ ম্যাচ, ও জাতীয় দলে ১২৫ ম্যাচ। মোট এর সংখ্যা দাঁড়ায় ১ হাজার ৩৭৪। ফলে, এই দোটানা এখনও রয়ে গেছে। ইংল্যান্ডের অনলাইন ফুটবল ওয়েবসাইট ‘এক্সটারনাল’ বলছে, শিলটন অনূর্ধ্ব-২৩ দলের জন্য ১৩টি ম্যাচ খেলেছেন, যা যোগ করলে তার মোট প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচের সংখ্যা হয় ১ হাজার ৩৮৭। তবে, এ সংখ্যাটিকে মূল দল হিসেবে গণ্য করা হবে কি না, সে বিষয়েও কিছু আলোচনা রয়েছে। সব বিতর্ক এক পাশে রেখে, ফ্যাবিও ডেইভসন লোপেজই এবার নিজের নাম আরও উজ্জ্বল করে বিশ্বরেকর্ড গড়লেন, যা ফুটবল ইতিহাসে এক অনন্য অঙ্গীকার হিসেবে থেকে যাবে।