নওগাঁ জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন, নেতৃত্বের আসন যাঁরা পাবেন? Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ২:৩২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৩, ২০২৫ নওগাঁ জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার, ১১ অগাস্ট দুপুর ১টায় শহরের নওগাঁ কনভেনশন সেন্টারে এ সম্মেলনের মূল অধিবেশনের উদ্বোধন করেন বিএনপির রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত জানিয়ে জাতীয় সংগীত ও দলীয় গীত পরিবেশনের মাধ্যমে সম্মেলনের শুভ সূচনা করা হয়। এছাড়াও, স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদ ও ৭ জুলাইয়ের আন্দোলনে শহীদদের আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। শুরুতে প্রধান অতিথি ভার্চুয়ালি 연결 হয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বক্তৃতা করেন, তিনি দল পুনর্গঠনে নতুন দিকনির্দেশনা দেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম ও এ এইচ এম ওবায়দুর রহমান চন্দন। এদিন বিকেল ৩টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয় এবং সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে। মোট ১ হাজার ৪১৪ ভোটার গোপন ব্যালটে দেশের ১৪টি ইউনিটের নেতাদের মনোনয়ন করবেন নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থী। এতে প্রধান পদ হিসেবে কাউন্সিলে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও দুটি সাংগঠনিক সম্পাদক পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। নেতাকর্মীরা বলছেন, সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকের জন্য কারা নির্বাচিত হবেন তা নিয়ে চলছে দেশজুড়ে আলোচনা ও জল্পনা। দীর্ঘ ১৫ বছর পর অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায়। শহর সেজেছে নতুন নেতৃত্বের প্রার্থীদের ছবি, ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ডে সাজানো। সম্মেলনের মাধ্যমে ২০০৭ সাল থেকে বন্ধ থাকা দলীয় যেকোনও বড় কার্যক্রম আবার শুরু হচ্ছে, যা কর্মীদের মধ্যে চাঙ্গা ও প্রাণবন্ত মনোভাব তৈরি করেছে। নেতাকর্মীদের মধ্যে আলোচনা চলছে বক্তা তথা নেতাদের পারদর্শিতা, পুরোনো ও নতুন নেতৃত্বের মধ্যে গড়ে ওঠা আস্থা ও শ্রমের ভিত্তিতে নেতৃত্ব নির্বাচন হবে কি না। বেশিরভাগ নেতাকর্মীর ধারণা, যারা রাজপথে ত্যাগ স্বীকার করে এসেছে, দলকে সচল রাখতে জনপ্রিয় ও কর্মীবান্ধব নেতারাই চান। পাশাপাশি, যারা দলের জন্য ঝুঁকি নিয়েছেন বা নির্যাতনের শিকার, তারা যেন যথাযথ মূল্যায়ন পান, সেটাও আশাবাদ। সম্মেলনের মাধ্যমে দলকে নতুনভাবে সংগঠিত করে আগামী সংসদ নির্বাচনেও বিজয় নিশ্চিত করতে চান নেতাকর্মীরা। জেলা বিএনপির সর্বশেষ দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০১০ সালে। ওই সম্মেলনে কাউন্সিলরদের ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হন সামসুজ্জোহা খান, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলু এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রহমান রিপন। এরপর ২০১৫ সালে বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত হলে নতুন কমিটি গঠিত হয়নি। তবে ২০২২ সালে গঠিত কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় আবু বক্কর সিদ্দিক ও বায়েজিদ হোসেন পলাশের নেতৃত্বে একটি আহ্বায়ক কমিটির মাধ্যমে সংগঠন চালু ছিল। এরপর চলতি বছরের আগস্টের শুরুতে কলাকৌশলে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন এবং মনোনয়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে opsiরা হলেন- সাবেক সভাপতি নজমুল হক সনি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলু, সাবেক আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু এবং আরো অনেকে। এদিকে, সম্মেলনের আগের দিন, রবিবার, দুপুর ২টায় নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে একটি সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনিক কার্যক্রম ও ভোটার তালিকা বিতর্কিত উল্লেখ করে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেন বিএনপি নেত্রী আমিনুল ইসলাম বেলাল। এ সব পরিস্থিতিতে নেতাকর্মীদের আশা, এবারের সম্মেলনে নতুন নেতৃত্বের মাধ্যমে দলটি আবার প্রাণ ফিরে পাবে ও শক্তিশালী হবে। SHARES রাজনীতি বিষয়: