হাসিনা-ইউনূস দ্বন্দ্বে আমি ‘বলির পাঁঠা’ হয়েছি: টিউলিপ Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ২:৩২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৯, ২০২৫ বাংলাদেশে দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার পর নিজেকে ‘বলির পাঁঠা’ বলে দাবি করেছেন ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্য ও প্রাক্তন ট্রেজারি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি বলেন, এই মামলাটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছেন। ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ানে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে টিউলিপ এ কথা বলেন। ৪২ বছর বয়সী এই লেবার পার্টির নেত্রী জানান, তিনি সম্প্রতি জানতে পারেন, ঢাকার পূর্বাচলে জমি বরাদ্দে প্রভাব খাটানোর অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এবং আরও ২০ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলার প্রথম শুনানি ১১ আগস্ট ধার্য করা হয়েছে। তবে, টিউলিপ বলেছেন, তিনি এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক সমন পাননি এবং অভিযোগপত্র দেখাও পাননি। তার ভাষ্য, ‘আমি যেন এক অদ্ভুত দুঃস্বপ্নের মধ্যে আটকা পড়িয়েছি, যেখানে বিচার শুরু হবে কিন্তু আমি জানি না আমার বিরুদ্ধে আসল অভিযোগ কী।’ বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক প্রত্যর্পণ চুক্তি না থাকায় পরিস্থিতির কারণে তার অনুপস্থিতিতেও বিচার হতে পারে। টিউলিপ জানান, গত বছরের জুলাইয়ে লেবার পার্টির নির্বাচনী বিজয় লাভের পর তিনি অর্থনৈতিক সচিব ও সিটি মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছিলেন এবং কাজ উপভোগ করছিলেন। তবে সে সময়েই বাংলাদেশে ছাত্রনেতাদের নেতৃত্বে চলমান বিক্ষোভের কারণে শেখ হাসিনার সরকার পতন হয়। ক্ষমতা পরিবর্তনের পর সংগে সংগে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূস ক্ষমতায় আসেন এবং তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ শুরু হয়। প্রথমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে, যা তিনি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। পরে, ২০০৪ সালে লন্ডনের কিংস ক্রসে একটি ফ্ল্যাট উপহার পাওয়ার বিষয়ে অভিযোগ ওঠে, যার নেপথ্যে তার ব্যাখ্যা রয়েছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে অন্য কারো মালিকানাধীন বাড়িতে থাকার বিষয়েও সমালোচনা হতে দেখা গেছে। তবে, যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীদের আচরণবিধি পর্যালোচনার জন্য নিয়োজিত স্বতন্ত্র উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাস তার আর্থিক বিষয়াদি খতিয়ে দেখেন এবং তাকে অভিযোগ থেকে মুক্তি দেন। টিউলিপ অভিযোগ করেন, বাংলাদেশে ক্ষমতা পরিবর্তনের পর ‘নোংরা রাজনীতি’ তার ওপর চালানো হচ্ছে। তার মতে, ‘এটি মুহাম্মদ ইউনূস ও আমার খালা শেখ হাসিনার মধ্যে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের ফলাফল, এবং আমি এর বলি হয়েছি। বাংলাদেশে যারা অপরাধ করেছে, তাদের শাস্তি হওয়া উচিত; তবে আমি তাদের মধ্যে একা নই।’ SHARES রাজনীতি বিষয়: