গণতন্ত্রের জন্য জীবন উৎসর্গকারী সব মানুষই হলেন জাতীয় বীর: সালাহউদ্দিন আহমদ

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৮:৫৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৭, ২০২৫

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, গণতন্ত্রের জন্য জীবন উৎসর্গকারী সবাইকে বলা হবে জাতীয় বীর। তিনি বলেন, ‘যারা গণ-আন্দোলনে জীবন দিয়েছেন, শুধুমাত্র এই সকলই নয়; ষোলো বছর ধরে গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য যারা জীবন উৎসর্গ করেছেন, তারা collectivelyই জাতীয় বীর হিসেবে গণ্য হবেন।’ এই মন্তব্য তিনি আজ রোববার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে ব্যক্ত করেন, যেখানে আয়োজন করা হয় ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ শীর্ষক অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য ছিল জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত, ক্যান্সারে আক্রান্ত ও অসুস্থ ব্যক্তিদের চিকিৎসা সহায়তা প্রদান। সালাহউদ্দিন আহমেদ মানসিক ও দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তায় জোর দেন এবং বলেন, শুধু রাষ্ট্র কাঠামো পরিবর্তন করলেই হবে না, যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন ও সাধারণ নাগরিকরা, তাঁদের মানসিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনও জরুরি। তিনি আরও বলেন, সরকারকে শুধু প্রত্যাশা করে নয়, আমাদেরও ভাবতে হবে দেশের জন্য কী করতে পারি। তিনি উল্লেখ করেন, আমরা যদি পরিবর্তনের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক সংবিধান পেয়েছি, তাহলে সেই সংবিধান অনুযায়ী দায়িত্ব পালনে জোর দিতে হবে। যদি সরকারি কর্মকর্তারা ও সাধারণ নাগরিকদের মানসিক দৃষ্টিভঙ্গি না বদলায়, তাহলে মানবিক রাষ্ট্র কিভাবে গড়া সম্ভব হবে? সালাহউদ্দিন আহমেদ 강조 করেন, আমাদের দৃষ্টি ভঙ্গি এমন হওয়া উচিত, সরকার আমাদের জন্য কী করবে, সেটাই ভাবার পরিবর্তে, আমাদেরও ভাবতে হবে কি করে দেশের জন্য কিছু করতে পারি। এই দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনই সম্ভবত আমাদের একত্রিত করে আশা ও লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে। তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার শহীদ, মুক্তিযোদ্ধা, ২০২৪ সালের ছাত্র গণঅভ্যুত্থানে যারা রক্ত দিয়েছেন, জীবন দিয়েছেন বা পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন তাদের স্বপ্ন আমরা বাস্তবে পরিণত করতে চাই। আমরা যেন এই সমাজ ও রাষ্ট্রের স্বপ্নের সাথে সংগতি রেখে সামনের দিকে এগোতে পারি। বল기를 অব্যাহত রাখেন, শত শত শহীদদের রক্তের মূল্যআমাদের পূরণ করতেই হবে। সালাহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, বর্তমানে পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ফেরেশস্তি শ্রেণির মধ্যে কোনো অনুশোচনা বা দুঃখের ছাপ নেই, তাদের মধ্যে রয়েছে এক প্রকারের দাম্ভিকতা। তারা নিজেদের জন্য কিছু ভাবছে না, বরং নিজেদের ক্ষমতার অহংকারে আছে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমান এবং সদস্য জাহিদুল ইসলাম রনি। আলোচনা সভায় অংশ নেন বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল ও তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ-সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন বকুল।