মেট্রোরেল প্রকল্পে ব্যয় কমলো সাত হাজার কোটি টাকা

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ২:৫০ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১৮, ২০২৪

মেট্রোরেলের ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-৫-এর সাউদার্ন রুট (গাবতলী-দাশেরকান্দি) প্রকল্পের ব্যয় ১৫ শতাংশ কমানো হয়েছে। মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) প্রকল্পটি পুনর্মূল্যায়নের পর ৬ হাজার ৮৯৮ কোটি টাকা ব্যয় কমিয়েছে। ফলে শেখ হাসিনা সরকারের নেওয়া মেগাপ্রকল্পগুলো পুনর্মূল্যায়নের মাধ্যমে ব্যয় সাশ্রয়ের সম্ভাবনা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের নেতৃত্বাধীন পরিকল্পনা কমিশনের নির্দেশে এ পর্যালোচনা করা হয়। সংশোধিত প্রকল্পটি  সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে জমা দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে আরও খরচ হ্রাসের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। প্রকল্পটির পরিচালক মো. আব্দুল ওহাব জানিয়েছেন, ঋণের সুদ পরিশোধের সময় কমিয়ে আনা, মূলধন ব্যয় হ্রাস এবং অতিরিক্ত ব্যয় প্রাক্কালনে কম অর্থ ধরে খরচ সাশ্রয় করা হয়েছে।

চালু হচ্ছে মেট্রোরেল অ্যাপ :এদিকে খুব শিগগিরই চালু হচ্ছে মেট্রোরেল অ্যাপসেবা। এতে যাত্রীরা ঘরে বসেই ঢাকা মেট্রোরেলের এমআরটি পাস-কার্ড রিচার্জ করতে পারবেন। পাশাপাশি জানা যাবে মেট্রোরেলের অবস্থানসহ যাবতীয় তথ্য। এজন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করেছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেট্রোরেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ। তিনি বলেন, অ্যাপে কার্ডহোল্ডার যাত্রীরা সহজেই ঘরে বসে নিজ নিজ কার্ড রিচার্জ করার সুবিধা পাবেন। দ্রুতই চুক্তি হবে, বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

এগিয়ে চলছে বিমানবন্দর-কমলাপুর রুটের কাজ :দেশে প্রথম বারের মতো বিমানবন্দর-কমলাপুর রুটে ভূগর্ভস্থ মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ চলছে। ২০২৮ সালের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ করার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে ইউটিলিটি পরিষেবাগুলো স্থানান্তর করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মোহাম্মদ আবদুর রউফ। প্রসঙ্গত, প্রকল্পটির কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেলে প্রায় প্রতি ঘণ্টায় ৭০ হাজার লোক যাতায়াত করতে পারবেন।

৩৫০ নয়, দেড় কোটি টাকায় চালু হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত দুই স্টেশন : প্রায় ৮৮ দিন বন্ধ থাকার পর মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ স্টেশন‌টিতে থাম‌ছে‌ ট্রেন এবং যাত্রীরা ওঠানামা কর‌ছেন। প্রায় ১ কো‌টি ২৫ লাখ টাকায় মেরামত ‌করে সচল করা হয়েছে এই স্টেশন। ত‌বে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার মাত্র দুই মাস পরেই চালু করা সম্ভব হয়েছে কাজীপাড়া স্টেশন। এই স্টেশন চালু করতে খরচ হয় মাত্র ২২ লাখ টাকা।

গত ১৯ জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে মিরপুরের-১০ নম্বর এবং কাজীপাড়া স্টেশনে ভাঙচুর করা হয়। এ‌তে ব্যাপক ক্ষ‌তি হয়ে‌ছে দাবি করে গত ২৭ জুলাই তখনকার সড়ক প‌রিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কা‌দের বলেন, স্টেশন দু‌টি সচল করতে ৩৫০ কোটি টাকা লাগবে। চালু কর‌তে এক বছরেরও বেশি লাগ‌তে পারে।

ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত স্টেশন দুটি চালু করতে কোনো সরঞ্জাম আমদানি না করে দেশীয় সম্পদের ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া যাত্রীচাপ তুলনামূলক কম থাকা তিনটি স্টেশন থে‌কে কিছু যন্ত্রাংশ খুলে লাগা‌নো হ‌য়ে‌ছে মি‌রপুর ১০ নম্বর স্টেশ‌নে। বা‌কি যন্ত্রাংশ আমদা‌নি কর‌তে হ‌বে। দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শেষ করতে মাস তিনেক সময় লাগবে। এই স্টেশন ঠিক করতে কোনো ঠিকাদার বা বিদেশি কাউকে লাগেনি। ডিএমটিসিএল নিজেই এটা করেছে বলে তিনি জানান।