শেখ হাসিনার পলায়ণ, নিউ ইয়র্কে আনন্দ উৎসব

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ১:১৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৫, ২০২৪

বাংলাদেশের সময় যখন দুপুর তখন আমেরিকায় ভোর, কিন্তু সেই ভোরের সূর্য উঁকি দিয়েছে নতুন খবরে, শেখ হাসিনার পদত্যাগ এই সংবাদে উল্লাসে ফেটে পড়েছেন নিউ ইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসীরা। প্রিয় জন্মভূমি আবার স্বাধীন হয়েছে মনে করে বাধ ভাঙ্গা উচ্ছাসে মেতেছেন তারা। ফজরের নামাজের পর মসজিদে মসজিদে দোয়া হয়েছে, ভোরেও খোলা হয়েছে মিস্টির দোকান। একে অপরকে বুকে জড়িয়ে আনন্দ অশ্রু ঝরিয়েছেন। এ যেন এক বিজয়, শিক্ষার্থী-জনতার জয়। ভোর হতেই নিউ ইয়র্কের জ্যাকসন হাইটস, ব্রঙ্কস, স্টারলিং, ওজন পার্কসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় নেমে আসেন নির্ঘুম রাত কাটানো প্রবাসীরা। দেশের পরিস্থিতি নিয়ে গত কয়েকদিন যারা উদ্বেগ উৎকন্ঠায় দিন পার করেছেন তারা যেনো স্বস্তির নিঃশ্বাস নিয়েছেন ভোরের বাতাসে ।

নিউ ইয়র্কে বায়তুল আমান ইসলামিক সেন্টারের ইমাম ও খতিব বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা আজিরুদ্দীন মানবজমিনকে জানান আমরা ১৯৭১ সাল দেখেছি, কিল্তু ২০২৪ সালে শেখ হাসিনার পতনের পর যেন নতুন এক বাংলাদেশ দেখছি, জলুমের শেষ আছে, অংহকারের পতন আছে মন্তব্য করে তিনি বলেন আল্লাহ ছাড় দেন কিল্তু ছেড়ে দেন না, শুধু দেশের জনগন নয় গত ১৫/১৫ বছর প্রবাসীরাও অনেক যন্ত্রণা সহ্য করেছেন ।

নিউ জার্সির বাসিন্দা কমিউনিটি নেতা আমির উদ্দিন জানান দেশের মানুষ নতুন সূর্য দেখছে, আনন্দে শরীক হচ্ছি আমরা। হাসিনার পতন জেল জলুম হত্যা নির্যাতনের ফল। দেশের শিক্ষার্থীরা যেভাবে আন্দোলন করেছে তা নজীর হয়ে থাকবে যুগ যুগ ধরে।

ব্রঙ্কসের বাসিন্দা রুমা বেগম জান্নাত বাংলাদেশের আনন্দের মুহূর্তে তিনি দৈনিক মানবজমিনসহ সত্য প্রকাশে যেসব মিডিয়া ভুমিকা রেখেছে তাদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলন করেছে তাতে প্রবাসীদের সমর্থন ছিলো।

মুগ্ধ সাঈদসহ শত শত শিক্ষার্থী-জনতার রক্তের বিনিময়ে এ বিজয়, তিনি সরকারের নিযার্তনে এবং অবিচারে গত ১৫-১৬ বছরে যত মানুষ নিহত হয়েছেন তাদের প্রত্যেকের পরিবারের প্রতি এ বিজয় উৎসর্গ করেন।