হবিগঞ্জে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ-ছাত্রলীগের সংঘর্ষে যুবক নিহত Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ২:২৪ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২, ২০২৪ হবিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ-ছাত্রলীগের সংঘর্ষে মুস্তাক আহমদ নামক ২৬ বছর বয়সি এক যুবক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২ আগস্ট) তার মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছেন হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আমিনুল হক সরকার। তিনি জানান, নিহত যুবকের শরীরে গুলির আঘাত পাওয়া গেছে। এর আগে বেলা তিনটার দিকে শহরের তিনকোনা পুকুরপাড় এলাকায় সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য আবু জাহিরের বাড়ি ভাঙচুর ও জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘোষিত ‘প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল’-এর অংশ হিসেবে জুমার নামাজের পর হবিগঞ্জে শহরের বোর্ড মসজিদের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। প্রত্যক্ষদর্শীসূত্রে জানা যায়, হবিগঞ্জ শহরের বোর্ড মসজিদ এলাকায় শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিলে পূর্ব টাউন হল এলাকায় অবস্থান নেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। একপর্যায়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মিছিলে যোগ দিয়ে সংহতি প্রকাশ করেন জেলা ছাত্রদল ও অন্য দলের নেতাকর্মীরা। এরপর মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে টাউন হল এলাকায় শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ বাঁধে। একপর্যায়ে সেখানে থাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আগুন দেন আন্দোলনকারীরা। এ ছাড়া তারা স্থানীয় সংসদ সদস্য আবু জাহিরের বাসায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এ সময় পুলিশ সেখানে এলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। দুদিক দিয়ে আন্দোলনকারীরা পুলিশের দিকে আসতে থাকেন। একপর্যায়ে পুলিশ গুলি চালায় বলে জানা যায়। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া সহিংসতা ও সংঘর্ষে হত্যা এবং গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা বিক্ষোভে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে জড়ো হয়ে মিছিল ও সমাবেশ করছেন মানুষ। এসব বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে অর্ধশতাধিকের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজ শুক্রবার দেশব্যাপী প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গণহত্যা ও গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এবং শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামীকাল [২ আগস্ট] মসজিদে জুমার নামাজ শেষে দোয়া, শহীদদের কবর জিয়ারত, মন্দির, গির্জাসহ সব উপাসনালয়ে প্রার্থনার আয়োজন ও পরে ছাত্রজনতার গণমিছিল অনুষ্ঠিত হবে। SHARES জাতীয় বিষয়: