বিএনপির বক্তব্যে মনে হয় পদ্মা সেতু তাদের গলার কাঁটা: তথ্যমন্ত্রী Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ৮:০৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ৪, ২০২২ তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, পদ্মা সেতু হওয়াতে সারা দেশের মানুষ উল্লসিত ও গর্বিত। সেখানে বিএনপির বক্তব্যে মনে হচ্ছে তারা লজ্জিত। পরিস্থিতি এমন যে পদ্মা সেতু বিএনপির গলার কাঁটা হয়ে গেছে। সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে এসব কথা বলেন হাছান মাহমুদ। তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। ‘পদ্মা সেতু উদ্বোধনে ৫-১০ হাজারের বেশি লোক হয়নি’, বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর এমন মন্তব্যের জবাব দেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতায় মাত্র তিন হাজার মানুষকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সেখানে অন্য কারও যাওয়ার সুযোগ ছিল না। প্রত্যেককেই করোনা টেস্ট করে সেখানে যেতে হয়েছে। এ উপলক্ষে যে জনসভা হয়েছে, সেখানে লাখ লাখ মানুষের সমাবেশ হয়েছে।’ হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘বিএনপির কিছু নেতার বক্তব্যে মনে হচ্ছে তাঁদের সত্যিই মানসিক চিকিৎসার প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে। না হলে তাঁরা এভাবে উদ্ভ্রান্তের মতো কথা বলতেন না। বিশেষ করে রিজভী আহমেদ।’ রিজভী আহমেদ বেশ কিছুদিন অসুস্থ ছিলেন উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমার মনে হয় তিনি (রিজভী) পুরোপুরি সুস্থ হননি বলেই অসুস্থ মানুষের মতো কথা বলছেন। তাঁর আরও একটু চিকিৎসার দরকার আছে বলে মনে হচ্ছে।’ খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপি আদালত ঘেরাওয়ের কর্মসূচি দেবে—এ নিয়ে সাংবাদিকেরা হাছান মাহমুদকে প্রশ্ন করেন। জবাবে তিনি বলেন, ‘আদালত ঘেরাওয়ের বক্তব্য সরাসরি আদালতের হুমকিস্বরূপ। আমি জানি না, আদালত সেটিকে কীভাবে বিবেচনা করবেন। তবে এটি সরাসরি আদালতকে হুমকি দেওয়ার শামিল।’ এর আগে তথ্য অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ প্রকাশিত ছয়টি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন তথ্যমন্ত্রী। এ সময় তথ্য ও সম্প্রচারসচিব মো. মকবুল হোসেন, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. শাহেনুর মিয়া, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক মো. নিজামূল কবীর বক্তব্য দেন। মুজিব বর্ষে তথ্য অধিদপ্তর প্রকাশিত সংকলন মুজিব বর্ষে বঙ্গবন্ধু গ্রন্থটিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘মুজিব শতবর্ষ আবার আসবে না, দেড় শ বা দুই শ বর্ষ আসবে। তখন আমরা অনেকেই বেঁচে থাকব না। আমরা ভাগ্যবান যে আমরা মুজিব শতবর্ষ উদ্যাপন করতে পেরেছি। এই প্রকাশনার মাধ্যমে মুজিব বর্ষের অনেক বিষয় সংরক্ষিত থাকবে।’ তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের বাৎসরিক গবেষণা প্রকল্পপ্রসূত অন্যতম সেরা পাঁচ গ্রন্থ ‘চলচ্চিত্র সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধার’, ‘স্টেট, আইডেনটিটি অ্যান্ড ডায়াসপোরা ইন তানভীর মোকাম্মেলস ফিল্মস’, ‘প্রেক্ষাগৃহে ছবি দেখা: পাঁচ দশকের বিবর্তন’, ‘বিদেশি চলচ্চিত্রে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের উপস্থাপন’ ও ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলচ্চিত্র সমালোচনার স্বরূপ’ বইগুলো থেকে অনেক কিছু জানার আছে। SHARES জাতীয় বিষয়: