গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেয়নি ১৮টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৭:৩৮ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ১৭, ২০২৪

আগামী ২০২৬ সালে বাংলাদেশে ই-কমার্সের বাজার ১ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকার হবে বলে ধারণা করছে ই-কমার্স খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়, বর্তমানে দেশে ই-কমার্সের বাজার ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার। দেশীয় টাকায় প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা।

গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরেন সংগঠনটির বাজার বিশ্লেষক কাজী আব্দুল হান্নান। ই-কমার্স ও ই-সেবা খাতে ভোক্তার অধিকার-আমাদের করণীয় শীর্ষক সভায় আয়োজন করে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।

সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়, বর্তমানে বাংলাদেশে ৩২টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের কাছে গ্রাহকের পাওনা ৫৩১ কোটি টাকা। তারমধ্যে ১৮টি প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের টাকা ফেরত দেয়নি। গ্রাহকরা টাকা ফেরত পেয়েছে ৩৮৭ কোটি টাকা। আর ১৪৪ কোটি টাকা ফেরতের আসায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা। গ্রাহকের অর্থ কেলেঙ্কারিতে ইভ্যালির নাম আলোচনা থাকলেও আর অনেক প্রতিষ্ঠান টাকা মেরে দিয়েছে।

বাংলাদেশে ই-কমার্স নিয়ে আইন তৈরি তো দূরে থাক তার স্পষ্ট কোনো সংজ্ঞাও নেই বলে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, যার ফলে প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকদের টাকা মেরে দিচ্ছে। আইন না থাকায় প্রতারকদের যথাযথ শান্তির আওতায় আনা যাচ্ছে না।

বাংলাদেশে ৫০ হাজারের বেশি ফেসবুক পেজ থেকে ই-কমার্স ব্যবসা পরিচালিত হয়, অর্থাৎ পণ্য বিক্রি হয় বলে উল্লেখ করে বক্তারা আরও বলেন, এসব পেজে প্রতিদিন একটি অর্ডার পেলেও তা ৫০ হাজার ছাড়ায়। বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান রির্চাস অ্যান্ড মার্কেট ডট কমের মতো ২০২৬ সালের দেশে ই-কর্মাসের বাজার হবে ১ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা। এটি আরও বাড়তে পারে। কারণ দেশের মাত্র ১.৩ শতাংশ ই-কমার্স থেকে পণ্য ক্রয় করেন। অথচ দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সংখ্যা ১৩ কোটি।

দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীকে অনলাইনে কেনাকাটা অভ্যস্ত করতে পারলে এবং ভোক্তার স্বার্থ রক্ষা করা গেলে ভবিষ্যতে ই-কমার্স বড় বাণিজ্যিক খাত হবে বলেও উল্লেখ করা হয় অনুষ্ঠানে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, বাংলাদেশে প্রতিযোগিতা কমিশনের পরিচালক গাজী গোলাম তৌসিফ, ই-ক্যাবের সেক্রেটারি আব্দুল ওয়াহেদ তামাল, ইভ্যালির সিইও মো. রাসেল ও আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।