যুদ্ধক্ষেত্রে চাপের মুখে রাশিয়া

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৭:২৯ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ১৭, ২০২৪

নিজস্ব ভূখণ্ডে আকাশপথে রাশিয়ার লাগাতার হামলার জবাব হিসেবে ইউক্রেনও পালটা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে ইউক্রেন সাধারণত এমন বিচ্ছিন্ন ড্রোন হামলার দায় স্বীকার না করায় এবং রাশিয়া বিষয়টিকে ধামাচাপা দেবার চেষ্টা করায় প্রায়ই প্রকৃত চিত্র পুরোপুরি স্পষ্ট হচ্ছে না।

এবার রাশিয়ার দক্ষিণে ভোরোনেঝ শহরে ড্রোন হামলার ফলে শহরের মেয়র জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। সেই হামলায় কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং একটি শিশু আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। আগুনের কারণে একটি আবাসন ভবন থেকে বাসিন্দাদের উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার রাতে ইউক্রেন সীমান্তের কাছে ভোরোনেঝ অঞ্চলে পাঁচটি ড্রোন ধ্বংস এবং তিনটি থামানো সম্ভব হয়েছে বলে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করছে। সেইসঙ্গে বেলগোরোদ অঞ্চলেও চারটি ড্রোন হামলা বানচাল করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, রুশ সংবাদ মাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী ভোরোনেঝ শহরের কাছে রাশিয়ার একটি বিমান ঘাঁটি রয়েছে। ইউক্রেনের উপর হামলা চালাতে সেখান থেকে সুখোই এসইউ-৩৪ যুদ্ধবিমান পাঠানো হয়। সোমবার রাতে সেই এলাকায় কমপক্ষে ১৫টি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে কিছু রুশ সূত্র টেলিগ্রাম চ্যানেলে দাবি করছে।

গত কয়েক দিনে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী বেশ ক্ষয়ক্ষতির মুখ দেখেছে। আজোভ সাগরের উপর দুটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক কমান্ড বিমান ধ্বংস হওয়ার ঘটনা নিয়ে অবশ্য বিভ্রান্তি এখনো কাটছে না। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রায় ৩০ কোটি ডলার মূল্যের রাডারযুক্ত এ-৫০ বিমান এবং আইআই-২২ কমান্ড বিমান হারানো রুশ বিমানবাহিনীর জন্য মারাত্মক ঘটনা। ইউক্রেন সেই সাফল্য দাবি করলেও প্রকৃত ঘটনা সম্পর্কে সংশয় থেকে যাচ্ছে।

ব়্যান্ড করপোরেশনের বিশেষজ্ঞ উইলিয়াম কার্টনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, রাশিয়ার হাতে সম্ভবত ৬টি এ-৫০ বিমান ছিল। বিশেষ করে ইউক্রেন মার্কিন এফ-১৬ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করলে সেই বিমানের গতিবিধির উপর নজর রাখতে রাশিয়াকে এ-৫০-র উপর নির্ভর করতে হবে। আইআই-২২ কমান্ড বিমানও সে ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। কার্টনি ইউক্রেনীয় বাহিনীর ক্ষমতার প্রশংসা করেন।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি তাঁর সুইজারল্যান্ড সফরে সুইস সরকারের শীর্ষ প্রতিনিধিদের সঙ্গে সোমবার আলোচনা করেছেন। দুই দেশ যৌথভাবে ইউক্রেন শান্তি শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে সম্মেলনের দিনক্ষণ এখনো স্থির হয় নি। জেলেনস্কি সেখানে রাশিয়ার উপস্থিতির কোনো কারণ দেখছেন না। মঙ্গলবার তিনি ডাভোসে বিশ্ব অর্থনীতি ফোরামে প্রথমবার সশরীরে ‘কিনোট’ ভাষণ দিচ্ছেন। গত কয়েক বছরে তিনি ভিডিও লিংকের মাধ্যমে সম্মেলনে বক্তব্য রেখেছিলেন। পশ্চিমা বিশ্ব থেকে আরো সামরিক ও অন্যান্য সহায়তা আদায় করতে তিনি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জগতের শীর্ষ নেতাদের কাছে আবেদন করবেন বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।