‘ইউকে ফেরত যাত্রীদের ৭ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে’

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ১২:৩৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৩, ২০২০

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, এমপি বলেছেন, ‘সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে করোনা ভাইরাসের নতুন ধরণ দেখা দেয়ায় সেখান থেকে আসা যাত্রীদের দেশে প্রবেশ করলে সাতদিন বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। ৭ দিন শেষ হলে কোয়ারেন্টাইনে থেকেই সরকারিভাবে যাত্রীদের কোভিড টেস্ট করে ছেড়ে দেয়া হবে। দেশের কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতেই এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’

আজ বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর আশকোনা হজ ক্যাম্পে বিদেশ ফেরত যাত্রীদের জন্য জিন এক্সপার্ট মেশিন, মোবাইল পিসিআর ল্যাব ও অ্যান্টিজেন টেস্ট-এর শুভ উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘জিন এক্সপার্ট মেশিনে কোভিড-১৯ টেস্টের মাধ্যমে দেশে নতুন আরেকটি প্রযুক্তি যুক্ত হলো। এর আগে এ বছর মার্চ মাস থেকেই দেশে কোভিড-১৯ টেস্ট শুরু করা হয়। শুরুতে মাত্র ১টি পিসিআর ল্যাব ছিল। বর্তমানে ১১৮টি পিসিআর ল্যাব চালু করা হয়েছে। এর সাথে অ্যান্টিজেন টেস্ট যুক্ত করা হয়েছে। আজ নতুনভাবে জিন এক্সপার্ট মেশিনের মাধ্যমে কোভিড-১৯ পরীক্ষা শুরু হলো। সুতরাং কোভিড মোকাবেলায় আমরা সব দিক দিয়েই এখন সেবার মান বৃদ্ধি করেছি। কোভিড মোকাবেলায় স্বাস্থ্যখাতের যথোপযুক্ত উদ্যোগ থাকায় দেশের মানুষ স্বাভাবিক জীবন-যাপন করছে, ব্যবসা বাণিজ্য চলমান রয়েছে, দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিও ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে।”

মোবাইল পিসিআর ল্যাব প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মোবাইল পিসিআর ল্যাবটি এশিয়ার সর্বপ্রথম করোনা টেস্টিং ল্যাব। যেখানে রোগীরা নিজের অবস্থানে থেকেই নিরাপদে ও স্বাচ্ছন্দ্যে করোনা পরীক্ষা ও অন লাইনে রিপোর্ট পাবেন। এছাড়াও উন্নত বিশ্বের ন্যায় জরুরি প্রয়োজনে নির্দিষ্ট স্থানে উপস্থিত হয়ে বা দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও শিল্পাঞ্চলে গিয়ে স্যাম্পল নেয়া এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে যথাসময়ে অনলাইনে রিপোর্ট প্রদানের সুবিধা থাকছে এই মলিক্যুলার ল্যাবে।’

উল্লেখ্য, জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধায়নে ও গ্লোবাল ফান্ড-এর আর্থিক সহযোগিতায় জিন এক্সপার্ট এর মাধ্যমে কোভিড-১৯ টেস্ট শুরু হয়েছে। এই টেস্ট পরিচালনা করার জন্য তিনটি পৃথক কক্ষের প্রয়োজন হয় না। এই পদ্ধতিতে পিসিআর রি-এজেন্ট কার্টিজে আগে থেকেই দেওয়া থাকে, তাই নিউক্লিক এসিড এক্সট্রাকশন, অ্যামপ্লিফিকেশন, ডিটেকশন প্রক্রিয়া কার্টিজের মধ্যে সম্পূর্ণ হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম-এর সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন মোঃ ফাইজুর রহমান, লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. সামিউল ইসলাম, লে. কর্নেল সাইফসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।