স্বপ্নের ‘রাজপ্রসাদ’ হতদরিদ্রদের মরণ ফাঁদ! Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ৫:২১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৩০, ২০১৯ ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ভূমিহীন পরিবারের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে গুচ্ছগ্রামের ঘর নির্মাণে অনিয়ম ও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার তাহেরহুদা ইউনিয়নের আরশীনগর গুচ্ছ গ্রামে ছিন্নমূল মানুষের জন্য ৫টি ঘর নির্মাণে এ অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন ২০১০- ১৯ (সংশোধিত) এ প্রকল্পের আওতায় উপজেলায় প্রতিটি ঘরের জন্য দেড় লাখ টাকা করে সর্বমোট ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে ৫টি ঘর নির্মাণ করা হয়। হরিণাকুন্ডু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমিটির সভাপতি ও এসিল্যান্ড সদস্য সচিব হওয়ায় উভয় দায়িত্বে থাকা তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ঘরগুলো নির্মাণ করান। গত ২৭ মে ঘরগুলো হস্তান্তর করা হয়। সরেজমিনে দেখা যায়, নির্মাণের মাত্র ৬ মাস যেতে না যেতেই প্রতিটি ঘরে ফাটল ধরেছে। ঘরের মেঝে ও দেয়াল দেবে গেছে। বারান্দা, আরসিসি পিলার ফাটল ধরে খুলে যাওয়া উপক্রম। ঘরপ্রাপ্ত ছিন্নমূল পরিবারের অভিযোগ নিম্নমানের ইট, খোয়া, বালু ও সিমেন্ট ব্যবহারের ফলে এ ফাটল দেখা দিয়েছে। এছাড়া ঘরগুলোর টিন ও দেওয়া হয়েছে নিম্নমানের। ঘরের চালা ও বারান্দায় ব্যবহৃত ০.৪৬ মিলিমিটার টিনের পরিবর্তে দেওয়া হয়েছে ০.২৬ মিলিমিটারের হালকা টিন। এ বিষয়ে সুবিধাভোগী মুক্তিযোদ্ধা তাহাজ উদ্দীন বলেন, মাত্র ১০ থেকে ১৫ দিন সময়ে তড়িঘরি করে কোনরকম দায়সারা এসব ঘর নির্মাণ করেছেন ইউএনও সাইফুল ইসলাম। ব্যবহার করেছেন নিম্নমানের ইট, খোয়া, বালু ও সিমেন্ট। ফলে ঘর গুলো ফাটল ধরে দ্রুত ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়ছে। ভুক্তভোগী রাজিয়া খাতুন, পিনজিরা ও বেদানা খাতুন বলেন, আগে পাঠকাঠির বেড়া আর পলিথিনের ছাউনি দিয়ে কোন রকমে রাতে ঘুমাতাম। তবুও সেখানে শান্তি ছিল, ভেঙ্গে পড়লেও মরার ভয় ছিল না। প্রধানমন্ত্রী আমাদের ঘর দিয়েছেন এটা আমাদের রাজপ্রাসাদতুল্য কিন্তু কে জানতো সেই স্বপ্নের রাজপ্রাসাদই আমাদের মরণ ফাঁদ হবে। রাতে ভয়ে নির্ঘুমে কাটাই। সব সময় আতঙ্গের মধ্যে থাকি কখন যেন ঘর চাপা পড়ে মরে যাই এই ভয়ে। এ সব অভিযোগের বিষয়ে সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বর্তমান শৈলকুপার ইউএনও মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, এমন হওয়ার কথা নয়। আমি টিনের ঘরের পরিবর্তে পাকা ঘর করে দিয়েছি। ১নং ইট দিয়ে কাজ করিয়েছি। তার পরও এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে দেখা হবে। SHARES অপরাধ বিষয়: