‘কিংবদন্তির কথা বলছি’ মুহিউদ্দিন খান রহ.-এর বর্ণাঢ্য জীবনের গল্পভাষ্য

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৫:১৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৩০, ২০১৯

সময়ের প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ লেখক আহামাদ সাব্বির রচিত ‘কিংবদন্তির কথা বলছি’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও সাহিত্য আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  শুক্রবার সন্ধ্যায় বাইতুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ চত্বরে এ মোড়ক উন্মোচন ও সাহিত্য আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়।

লেখক ইমরান রাইহানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আড্ডায় উপস্থিত ছিলেন, লেখক ও অনুবাদক কাজী আবুল কালাম সিদ্দীক, লেখক ও সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মাসউদ, তরুণ অনুবাদক মানসূর আহমাদ, ইফতেখার জামিল, সালমান মোহাম্মাদ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই আয়োজকের পক্ষ থেকে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ‘কিংবদন্তির কথা বলছি’ বইয়ের লেখক আহমাদ সাব্বির৷ স্বাগত বক্তব্যে তিনি নাশাত পাবলিকেশনের মতন একটি নতুন প্রকাশনের আহ্বানে এতো মানুষের স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণের জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন এবং নাশাত পাবলিকেশন ও লেখকের এগিয়ে চলার পথে তারা এভাবেই পাশে থাকবেন বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

প্রসঙ্গত, ‘কিংবদন্তির কথা বলছি’ মাওলানা মুহিউদ্দিন খান রহ.-এর বর্ণাঢ্য জীবনের গল্পভাষ্য৷ অনুষ্ঠিত আড্ডায় আলোচকরা মাওলানা খানের জীবন ও কর্মের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন।

সবশেষে লেখক নিজেকে উপস্থিত করেন পাঠকের কাঠগড়ায়৷ তারা বইটি সম্পর্কে লেখককে নানা ধরনের প্রশ্ন করেন এবং তিনি সেসব প্রশ্নের গোছালো উত্তর প্রদান করেন৷

লেখক আহমাদ সাব্বিরের সাথে পাঠকের আলাপচারিতার মূল বক্তব্য ছিল— ইসলামকে উপজীব্য করে এ দেশে যারা বাংলা ভাষায় লেখালেখির চর্চা করে যাচ্ছেন তাদের পেছনে মাওলানা খানের অনস্বীকার্য অবদান রয়েছে; দায় রয়েছে৷ সেই দায় থেকেই এবং তার প্রতি হৃদয়ের সুপ্ত ভালোবাসা থেকেই প্রথম কাজটি মাওলানা খানকে নিয়ে করা৷ তা ছাড়া নতুন প্রজন্মের কাছে তার বর্ণাঢ্য জীবন কিছুটা নতুন ও আধুনিক আঙ্গিকে উপস্থাপন করাও এ গ্রন্থের উদ্দেশ্য৷

মাওলানা খান যে বিস্তৃত জীবন কাটিয়ে গেছেন সেটা নিয়ে লিখলে তো হাজার পৃষ্ঠা হবার কথা— পাঠকের এমন এক প্রশ্নের জবাবে লেখক বলেন, অবশ্যই৷ তবে আমি লেখকের সংগ্রামী জীবনের প্রারম্ভিকতার ওপর মূল ফোকাস রেখেছি৷ আর তা ছাড়া এটাতো একটি সূচনা মাত্র৷ আমি বিশ্বাস করি আমার এ কাজে উদ্বুদ্ধ হয়ে পরবর্তীতে কোন তরুণ তাকে নিয়ে হাজার পৃষ্ঠার গ্রন্থ রচনা করবেন এবং সেটা হবারও৷