শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে অচল নৌযান চলাচল

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৫:১২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৩০, ২০১৯

বাংলাদেশ জাহাজ শ্রমিক ফেডারেশনের ১৪ দফা ও বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের ১১ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে সারাদেশে একযোগে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে অচল হয়ে পড়েছে নৌচলাচল। শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে এ কর্মবিরতি শুরু হয়।

এতে নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল ও খুলনাসহ সারাদেশের বড় বড় নৌযানগুলো বন্ধ রয়েছে। তবে আজ শনিবার সকালে ঢাকা সদরঘাট থেকে মোট ছয়টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। এরমধ্যে তিনটি চাঁদপুরের উদ্দেশে ও তিনটি শরিয়তপুর, গোসাইহাট ও ডামুড্যার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।

এরআগে গতকাল শুক্রবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের ৫ নম্বর খেয়াঘাট এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের উদ্যোগে আয়োজিত এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ ঘোষণা দেন বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সবুজ শিকদার মাস্টার।

এর আগে এক মানববন্ধন থেকে ২৯ নভেম্বরের মধ্যে এসব দাবি বাস্তবায়নে আলটিমেটাম দিয়েছিলেন নৌযান শ্রমিকরা। বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের ঘোষিত ১১ দফা দাবির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নৌযান শ্রমিক ও কর্মচারীদের খোরাকি ভাতা ফ্রি করতে হবে ও ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা করতে হবে।

মাস্টার ড্রাইভারশিপ পরীক্ষায় ও ডিপিডিসি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সব প্রকার অনিয়ম বন্ধ করতে হবে এবং কোর্স চলাকালে শ্রমিকদের ছুটি বাধ্যতামূলক করতে হবে। নৌ শ্রমিকদের চিকিত্সার জন্য চিকিত্সালয় করতে হবে। নৌপথে মোবাইল কোর্টের নামে হয়রানি বন্ধ করতে হবে এবং বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে।

কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় নৌ শ্রমিকের মৃত্যু হলে ১২ লাখ টাকা মৃত্যুকালীন ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ভারতগামী শ্রমিকদের লোকাল এজেন্টের মাধ্যমে ল্যান্ডিং পাশ সার্ভিস ভিসা ও জাহাজের ফ্রিজিং ব্যবস্থা না থাকায় তাদের (শ্রমিকদের) সুবিধা মতো স্থানে বাজার ও অন্যান্য কাজের জন্য আলাদা নৌকার ব্যবস্থা করতে হবে।